অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই প্রাণে মেরে ফেলার লক্ষ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে
আনিস খান ও তাঁর ভাই সলমন খান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) খুড়তুতো ভাই সলমন খানকে (salman khan) তাঁর নিজের বাড়িতেই ধারাল অস্ত্র (sharp weapon) দিয়ে একাধিক কোপ (attack) মারল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার আমতায় বাড়িতেই আক্রান্ত হন সলমন। আনিস কাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী সলমন। সাক্ষী সরাতেই তাঁর ভাইয়ের উপর হামলা বলে জানিয়েছেন সলমনের দাদা সাবির খান। তাঁর দাবি, সলমনকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এর পিছনে রয়েছে। মাথায় গভীর ক্ষত নিয়ে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে (uluberia hospital) চিকিৎসাধীন সলমন। পুলিশি (west bengal police) নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছে সলমনের পরিবার।
আরও পড়ুন: "চোরেদের রানি কে?", নবান্ন অভিযানের আগে আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রশ্ন শুভেন্দুর
শুক্রবার রাত সওয়া ১টা নাগাদ ধারাল অস্ত্র নিয়ে সলমনের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে স্ত্রীর সামনেই সলমনের ওপর টাঙি দিয়ে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। মাথার পিছনের দিকে একাধিক অস্ত্রের কোপ মারায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সলমন। স্ত্রীর চিৎকারে সবাই ছুটে আসে। পরে সলমনকে আক্রান্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?
সলমনের পরিবারের অভিযোগ, আনিস মৃত্যুকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী হওয়ায় সলমনকে আগেও হুমকির দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের কাছে এপ্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। আনিস-কাণ্ডে সবসময়ই সক্রিয় থাকতেন সলমন। এই ঘটনার পর ফের সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে আনিসের পরিবার। এমনকী সলমনের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়ার প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলে দাবি আনিসের পরিবারের। পুলিশ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও জানান আনিস ও সলমনের দাদা সাবির।