সর্ষেক্ষেতে মেলে নাবালিকার চোখ উপড়ানো দেহ, বিশেষ কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?
কলকাতা হাইকোর্ট (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নৃশংসভাবে নাবালিকাকে খুন করার ঘটনায় এবার বিশেষ নির্দেশ হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পুলিশের রিপোর্টের বিস্তর ফারাক থাকায় কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। হাইকোর্ট বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত দ্বিতীয়বার ওই কিশোরীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়নাতদন্ত শেষ করে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে ওই রিপোর্ট আদালতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানান মৃতের পরিবারের আইনজীবী।
গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। তারপর আর ফেরেনি। আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। যে ঘরে ওই কিশোরী থাকত, সেখানে একটি চিরকুট মেলে। তাতে লেখা ছিল, 'চিন্তা কোরো না'। পরদিন অর্থাৎ, শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে নিখোঁজ ওই কিশোরীর দেহ মিলল। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, গলায় ফাঁসের দাগ আর উপড়ে নেওয়া হয়েছিল দুটি চোখ। নিহত কিশোরীর পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করে পুলিশ। পরিবার অভিযোগ করে তাদের মেয়েকে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। প্রথমে তদন্তে নেমে এক জনকে আটক করে পুলিশ। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শরীরে একাধিক ক্ষত, গলায় ফাঁসের দাগ এবং ধর্ষণের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে থাকে মৃত্যুর কারণ। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা খুঁজতে করা হয় দেহের ময়নাতদন্ত। সেখানে উল্লেখ থাকে শরীরের আঘাতের কথা। ধর্ষণ হয়ে থাকলে তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সেই রিপোর্টে। অপ্রত্যাশিত ভাবে দুই রিপোর্টের বিস্তর ফারাকের কারণে কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি এসএসকেএমের চিকিৎসকদের দিয়ে কিশোরীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।