বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে...
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নিয়ে আসা হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee)। তবে পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। আলিপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বুদ্ধদেব, সেই হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, অনেকটাই চেতনা ফিরেছে বুদ্ধদেবের। তাঁর রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নয়া অ্যান্টি বায়োটিক প্রয়োগ করায় এবং ভেন্টিলেশনে রাখায় অনেকটাই স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা।
এদিকে, এদিন প্রাক্তনকে দেখতে হাসপাতালে যান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও বলেন, “স্থিতিশীল রয়েছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার যেটুকু মনে হল, আমাকে যেন হাত নাড়লেন। এখন ভালই আছেন। স্থিতিশীল আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওঁরা সাধ্যমতো ভাল করে করছেন। বোর্ডও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয় প্যারামিটারগুলি অনেকটাই ঠিক আছে। বাদবাকিটা উনি কেমন আছেন, কী আছেন, যাঁরা মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন বা যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন। আমি ডাক্তার নই।”
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। কমেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও। হাসপাতালের তরফে এদিন বিকেলের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওপর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ক্রমেই। তাঁদের আশা, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরে যাবেন পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে। এদিন সকালেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেছিলেন, “বুদ্ধদেববাবুর (Buddhadeb Bhattacharjee) কার্ডিয়াক ফাংশন বেশ ভাল। তাই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ থাকলেও, উনি লড়ে যাচ্ছেন। শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। কোনও সমস্যা ছাড়াই তাঁর খাদ্যনালী দিয়ে শরীরে খাবার ঢুকছে। এটা ভাল লক্ষণ।”
আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ নয়”, অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বৈঠকে আনন্দ-বার্তা
তিনি বলেছিলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন কানে শুনতে পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন, আশপাশটা অনুভব করতে পারছেন। আমরা ডাকলে উনি তাকাচ্ছেন, মাথাও নাড়ছেন। কখনও কখনও ইশারায় হ্যাঁ বা না বোঝানোর চেষ্টাও করছেন। তবে এখনও বিপন্মুক্ত নন তিনি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।