আরামবাগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এ কী অভিযোগ?
সরকারি জমি দখল করে বাড়ি তৈরির কাজ চলছে (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার মদতে সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ। আর সেই জায়গা দখল করেই চলেছে পাকা বাড়ি তৈরির কাজ। আর কেউ প্রতিবাদ করলেই জুটছে হুমকি। আরামবাগের (Arambagh) কাষ্টদহী এলাকায় এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের কাষ্টদহী এলাকা। সেখানেই গ্রামের পাকা রাস্তার মোড়ে হঠাৎ করেই দেখা যায়, রাস্তার ধারে রাতের অন্ধকারে সরকারি জায়গা দখল করে শুরু হয় পাকা বাড়ি তৈরির কাজ। অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শান্তিরাম মালিক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেই অন্যের নামে এই বাড়ি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকী কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও ঘটনার খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই সরকারি জায়গা দেখিয়ে সজলধারা প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজের পরিবর্তে রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে সেখানেই তৈরি হচ্ছে নেতার দোকান ঘর। যা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তাই আমরা একজোট হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।
অন্যদিকে, সরকারি সম্পত্তি দখল প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শান্তিরাম মালিক বলেন, আমি পেশায় রাজমিস্ত্রী। ওই এলাকার এক ব্যক্তি আমার থেকে জমি বিক্রির টাকা পেত। সেই টাকার পরিবর্তে আমি তাঁকে বাড়ি করে দিচ্ছি। সরকারি জমি দখল করে কেন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিজের নামে আমি কোনও জায়গা দখল করিনি।
এই প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একটা জায়গাকে তিনবার বিক্রি করা, সরকারি সম্পত্তি দখল করা এটা তৃণমূল নেতাদের বৈশিষ্ট্য। আগামী আর কয়েক মাসের মধ্যে তৃণমূল দলটা আর থাকবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।