মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবপুরে টাকা উদ্ধার কাণ্ডে (Shibpur cash recovered case) অবশেষে ধরা পড়লেন পাণ্ডে ভাইয়েরা। গুজরাট (Gujrat) এবং ওড়িশায় (Odisha) একযোগে অভিযান চালিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে, তাঁর দুই ভাই অরবিন্দ ও রোহিত পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের আরও এক সহযোগীকে। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে আজ, শুক্রবার কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে । প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত অনলাইন কোর্সের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার করা হত।
হাওড়ায় ব্যবসায়ী ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডের ফ্ল্যাট, গাড়ি ও অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, পুলিশের অভিযানের কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি ব্যাগ গাড়িতে তুলে পালিয়ে যাচ্ছেন শৈলেশের ভাই অরবিন্দ ও তাঁর মা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশি অভিযানের খবর কি তাঁরা আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন? তদন্তকারীদের অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই। তাঁদের ধারণা, কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। আর শৈলেশ পাণ্ডেই ছিলেন সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের ইনট্রোডিউসার। মূলত তাঁর মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার কারবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে (Kolkata Police), হাওড়ায় ব্যবসায়ীর ১৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৭ কোটির লেনদেন হয়েছে। আরও অজস্র অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটির লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
তদন্ত শুরু হতেই পাণ্ডেরা গা ঢাকা দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁরা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেকারণে লালবাজার পাণ্ডে ভাইদের নামে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল। ওড়িশা এবং গুজরাতে পালিয়ে গিয়েছিল তাঁরা। দু'জনকে গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে এবং বাকিদের রাউরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করে এই মামলার গভীরে পৌঁছতে চায় পুলিশ। কীভাবে এই প্রতারণা-কাণ্ড চলত। এই বিপুল টাকা লেনদেনে যে অ্যাপের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কে তা তৈরি করেছে তার খোঁজও করছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours