Medical College Admission Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সমালোচনার জেরেই সব শিক্ষা মামলা সরল বিচারপতি সেনের বেঞ্চ থেকে?...
কলকাতা হাইকোর্ট (ছবি-ফাইল)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি (Medical College Admission Scam) সহ যাবতীয় শিক্ষা দুর্নীতি মামলা সরানো হল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে। এখন থেকে নতুন বেঞ্চে এই মামলাগুলি শোনা হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে।
বৃহস্পতিবার দিনভর নজিরবিহীন সংঘাতের সাক্ষী থাকল হাইকোর্ট। মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রসঙ্গে অনিয়মের মামলা নিয়ে বুধবার থেকেই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চ আর ডিভিশন বেঞ্চের টানাপোড়েন চলছিলই। যা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় বৃহস্পতিবার। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে এজলাসে বসেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী, কেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সেই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই রাতে বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ থেকে সরে গেল শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত মামলা। বৃহস্পতিবার রাতে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানাল, আগামী সোমবার থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে অন্য ডিভিশন বেঞ্চে। নির্দেশিকায় জানানো হয়, বিচারপতি সেনের বেঞ্চে থাকা শিক্ষা সংক্রান্ত আপিল মামলা বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ শুনবে। আগামী শুক্রবার থেকে রস্টার পরিবর্তনের নির্দেশ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। মূল বিতর্ক ছিল মেডিকেলে ভর্তি সংক্রান্ত একটি মামলাকে (Medical College Admission Scam) কেন্দ্র করে। অভিযোগ ছিল, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে কেউ কেউ মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। এই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ (Calcutta High Court)। কিন্তু বিচারপতির এই নির্দেশে এক ঘণ্টার মধ্যেই এ বিষয়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। তখন ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশে মৌখিক স্থগিতাদেশ দেয়। বুধবার বিকেলে এর পর আবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। সিবিআই এবং মামলাকারী তাঁকে মৌখিক স্থগিতাদেশের কথা জানায়। কিন্তু বিচারপতি পাল্টা জানান, স্থগিতাদেশের লিখিত প্রমাণপত্র না পেলে তিনি তা মানতে পারবেন না। এর পরেই সিবিআইকে তদন্তে এগোনোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই মামলায় এফআইআরও দায়ের করতে বলেন।
বৃহস্পতিবার তা অন্য পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এদিন সকালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরও খারিজ করে দেয় বিচারপতি সেন এবং বিচারপতি উদয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court)। এর পরই এজলাসে বসেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মামলা সংক্রান্ত তাঁর নির্দেশনামায় বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগ করেন, বিচারপতি সেন ‘রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা’ ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন। প্রশ্ন তোলেন, “কেন বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে না?’’ এমনকী, নিজের নির্দেশনামায় এই কথা লেখেনও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।