"এত প্রার্থী মনোনয়ন দিতে গিয়ে মার খেলেন কেন?"...
কলকাতা হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নবাণের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। ইতিমধ্যেই হিংসার বলি হয়েছেন ৭ জন (অবশ্য প্রশাসনের দাবি ৫ জন)। শাসক দল তৃণমূলের হিংসার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। কোথাও আবার হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি প্রহরায় মনোনয়নপত্র পেশ করতে গিয়েও হিংসার শিকার হয়েছেন বিরোধীরা।
রাজ্যের এই হিংসার আবহেই সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলের এক প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, “এটা কীভাবে সম্ভব হল? তাঁর আরও প্রশ্ন, সশীরের উপস্থিত না থেকেও কি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়? যদি তাই হবে, তাহলে এত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মার খেলেন কেন? আর ওই প্রার্থীই বা বিদেশে থেকে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”
এদিন পঞ্চায়েত সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। মামলাকারীর অভিযোগ, তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মহিরুদ্দিন গাজি হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছেন ৪ জুন। ভারত সরকারের হজ কমিটির তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। অথচ তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। মামলাকারীর যুক্তি, কীভাবে এই মনোনয়নপত্র গৃহীত হল? এটা বেআইনি। কারণ মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর প্রয়োজন। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) সিনহার মন্তব্য, “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন। এক দল মনোনয়ন দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে, মার খাচ্ছে। আর এক দল বিদেশে বসে মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”
আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের
মামলাকারীদের দাবি, এই অনিয়মের পরেও মহিরুদ্দিন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার ফর্মে জানিয়েছেন, প্রার্থী সঠিক পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর পরেই কমিশনকে বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, “কমিশনকে জানাতে হবে মনোনয়ন দেওয়ার সময় প্রার্থীদের উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন কিনা? স্বাক্ষর কীভাবে করা হয়, তাও জানাতে হবে।” এই মামলায় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন অভিবাসন ব্যুরোকেও যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।