নাবালিকার গর্ভপাত করানোর জন্য এসএসকেএম-কে দ্রুত বোর্ড গঠনের নির্দেশ আদালতের
নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণধর্ষণের শিকার, পূর্ব মেদিনীপুরের ১১ বছরের নাবালিকার (11 years old girl) গর্ভপাতে সন্মতি (Abortion Permission) দিল মেডিক্যাল বোর্ড। এরপরই ওই নাবালিকার যত দ্রুত সম্ভব গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। সেই কারণে তমলুক হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসতে বলেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরে। জানা গেছে, তমলুকের বাসিন্দা, ওই ১১ বছরের মেয়ে যে ছ’মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে, তা নাকি জানতেই পারেননি বাবা-মা! জানতে পারার পরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁদের। তাই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন চলতি মাসের ১৬ তারিখে। আবেদন করেন, ২৪ সপ্তাহের ভ্রূণ গর্ভপাত করাতে চান মেয়ের। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হয়। তাতে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন নাবালিকার বয়স নিয়ে। মেয়েটির পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানান, মেয়েটি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এখন সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। তবে সেই নাবালিকা সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো মানসিক বা শারীরিক অবস্থায় নেই। ২৪ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির বিরল, তবে এক্ষেত্রে নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত অনুমতি দিক।
আরও পড়ুন: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন?
পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় বছর এগারোর ওই কিশোরী। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনও নাবালক। রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তার পর থেকে নাবালিকা এখন হোমে রয়েছে। সে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বেশ দুর্বল। তাছাড়াও একটি ১১ বছরের মেয়ের পক্ষে সন্তানের জন্ম দেওয়া ও দায়িত্ব নেওয়া প্রায় অসম্ভব। তার মেডিক্যাল রিপোর্টও বলছে, বয়স কম হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের ওজন কম রয়েছে এবং অন্য সমস্যাও বেশ কিছু রয়েছে। তমলুক হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে দেখা গিয়েছে গর্ভপাতের প্রয়োজন রয়েছে। এরপরই আদালত (Calcutta High Court) এই রায় দেয়।