এদিন লালন শেখের স্ত্রী আদালতে হলফনামা দেন।
লালন শেখের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। সিবিআই ক্যাম্পের বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় লালনের দেহ। সিবিআই গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে লালনকে খুন করার অভিযোগ করেন লালনের স্ত্রী। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।
লালন শেখের (Lalan Sheikh) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে করা একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিল্লির এইমস ও কলকাতার এসএসকেএমে পাঠাতে হবে। দুই হাসপাতালই এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে নিজেদের মতামত জানাবে।
এছাড়াও এদিন লালন শেখের (Lalan Sheikh) স্ত্রী আদালতে হলফনামা দেন। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই হলফনামার ভিত্তিতে সিবিআই ও রাজ্য সরকার হলফনামা দেবে। পাশাপাশি এদিন হাইকোর্ট জানায় রাজ্য পুলিশ এই ঘটনায় সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। তবে সে কথা সিবিআইকে ২৪ ঘণ্টা আগে জানতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর, কলকাতা হাই কোর্টে লালন শেখের (Lalan Sheikh) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি জানায় সিবিআই। সেই প্রেক্ষিতে আদালতে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের কথা ওঠে। রাজ্য সরকার জানায়, লালনের দেহ কবর দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করতে গেলে মাটি খুঁড়ে তা তুলতে হবে। এরপরে আদালত দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ থেকে সরে আসে। তবে আগের ময়নাতদন্তের রিপোর্টই এ বার যাবে দিল্লির এইমস এবং কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা সেই রিপোর্ট দেখে তাঁদের মত জানাবেন আদালতকে, নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।
আরও পড়ুন: আইনজীবীদের বিক্ষোভে এফআইআর দায়ের আরজি-র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বারের
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয় লালন শেখের (Lalan Sheikh)। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তের এ ভাবে মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সিবিআই দাবি করে, আত্মঘাতী হয়েছেন লালন। অন্য দিকে, লালনের স্ত্রী দাবি করেন, সিবিআই মারধর করে তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। তিনি সাত সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: