‘‘অনেক ভুল হয়েছে, এখন সংশোধন করার সময় এসেছে...’’, আদালতে পর্ষদ
কলকাতা হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এবার বাল্মীকির সঙ্গে তুলনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগে অনিয়মের জন্য অযোগ্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করতে এসএসসি-কে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুধু তাই নয়, তাঁদের নাম, রোল নম্বরের পাশাপাশি এবং বাবার নাম ও স্কুলের তথ্যও উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মতো এসএসসি সেই কাজে এগিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রত্নাকর যদি বাল্মীকি হতে পারেন, তবে কমিশন নিজেদের পরিবর্তন করলে ক্ষতি কী?
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে কমিশন জানিয়েছিল, "অনেক ভুল হয়েছে। এখন সংশোধন করার সময় এসেছে। আমরা তাই করছি।" শুক্রবার এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেই নবম-দশম শ্রেণির ৯৫২ জন শিক্ষকের মধ্যে কিছু ব্যক্তির আইনজীবী বলেন, "স্কুল সার্ভিস কমিশন এখন সব এজলাসে গিয়ে সাধু সাজছে। নিজেদের যুধিষ্ঠির বলে প্রমাণ করতে চাইছে। এমন ভাব করছে যেন তারা কোনও ভুল করেনি। এই সবকিছুই কমিশনের ভুলের জন্য হচ্ছে।" এরপরেই বিশ্বজিৎ বসু পালটা প্রশ্ন করেন, "আমাদের দেশের পুরাণ অনুযায়ী দস্যু রত্নাকর পরে বাল্মীকি হয়েছিলেন। এটা ভালো লক্ষণ। অসুবিধা কোথায় ?
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’
বৃহস্পতিবার গ্ৰুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি-র আইনজীবীর দাবি ছিল, ‘‘যা ভুল হয়েছে, তা সংশোধন করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আদালতকে সব তথ্য দিয়ে সাহায্য করছি। আমাদের যুধিষ্ঠির হতে গত দেড় বছর লেগেছে।’’ একই ভাবে নবম-দশম শ্রেণির মামলাতেও নিজেদের ভুল শোধরানোর কথা জানিয়েছে এসএসসি। যা দেখে বিচারপতি তালুকদার লেডি ম্যাকবেথের সঙ্গে এসএসসি-র তুলনা করেন। প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সেই পদে নিয়োগের জন্যও নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়দানের তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেই নির্দেশ কার্যকরী করার কথাও বলা হয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।