আগামী ২৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে (SSC Scam) ওএমআর সংক্রান্ত কারচুপি-তে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ২৮ জুনের মধ্যে পেশ করতে হবে রিপোর্ট, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার সিবিআই-কে ৯০৭ ওএমআর (SSC Scam) কারচুপি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর আগে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও ওমএমআর শিটে-দুর্নীতির বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের দাবি, নবম ও দশমের ৯৫২টি, একাদশ ও দ্বাদশের ৯০৭টি ওমএরআর শিটে গরমিল রয়েছে। স্কুল সার্ভিস দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এর আগে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলাদ্রি দাস নামে এক ব্যক্তিকে। নিলাদ্রি যে সংস্থার আধিকারিক সেই সংস্থা নাইসার হাতেই ছিল এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব। গাজিয়াবাদ ও দিল্লির অক্ষরধামে সেই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ওএমআর বিকৃতির ব্যাপারে একাধিক তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।
আরও পড়ুন: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেছিলেন, "দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না।" প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ওএমআর-এর ক্ষেত্রেও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এবার এই সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “৯০৭ ওএমআর কারচুপি'র ধরণ কী? এই ওএমআর প্রকাশিত করা যায়নি কেন?” তাঁর আরও সংযোজন, “এই ওএমআর প্রকাশিত করা গেলে কবে যাবে, তা বিস্তারিত জানাতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।” একইসঙ্গে ২৮ জুনের মধ্যে সিবিআইকে ৯০৭ ওএমআর কারচুপির তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ