TET 2014: ২০১৪ সালের টেট প্যানেলও কি বাতিল হতে পারে?
কলকাতা হাইকোর্ট। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ১৭ বার বেআইনি কাজে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। আর তাই যোগ্য-অযোগ্যদের পার্থক্য করতে না পারায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটা বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলায় একই সমস্যার বিষয় এসেছে বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার এজলাসে। এই মামলায় বিচারপতি সিবিআই-এর রিপোর্টে অনেক বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। এই মামলায়ও টেটে পাশ করা এবং ফেল করা প্রার্থীদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ফলে বিচারপতির প্রশ্ন টেটের পরীক্ষা কি আদৌ বৈধ ছিল?
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা জানতে চেয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কি কখনও আলাদা করে আদলাতে পাশ এবং ফেল করা প্রার্থীদের তালিকা জমা দিয়েছে? না দিলে তালিকা জমা দেওয়ার সম্ভাবনা কতটা রয়েছে? তিনি আরও জানতে চান, যাদের টেটের ফলাফলে ভূয়ো ওয়েবসাইটে নাম দেখানো হয়েছে, যারা ভূয়ো ইমেলে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছে তাদের কি যোগ্য বলে গণ্য করা হবে? বিচারপতি অবশ্য এখনই কোনও রায় দেননি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে কিছু প্রশ্ন করেন। আগামী জুন মাসে এই মামলার ফের শুনানি হবে।
এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থী আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কারা টেট পাশ করে ছিল এবং কারা টেট পাশ করেনি এই বিষয়ে পর্ষদের কাছে কোনও উত্তর নেই। এখনও পর্যন্ত পৃথক করে দেখাতে পারেনি কোর্টে (Calcutta High Court)। তবে যাদের কাছে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি আছে তাদের পাশ-ফেল নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়।”
আরও পড়ুনঃ ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে
২০১৬, ২০২০, ২০২২ সালের নিযুক্ত শিক্ষকেরা অনেকেই ২০১৪ সালের টেটে পাশ করেছিল। আদলাতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উত্তরপত্রের ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছেনা। পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন যে পর্ষদ যে বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে উত্তরপত্র দেখার দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই উত্তরপত্র স্ক্যানে গোলমাল হয়েছে। এই কোম্পানি কেন উত্তরপত্র স্ক্যান করে পর্ষদের সরকারি ইমেলে না পাঠিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের ইমেলে পাঠিয়ে ছিল? ফলে দুর্নীতি ছত্রে ছত্রে হয়েছে অনুমান করা হচ্ছে। তাই ২০১৪ সালের টেটের রায় শেষ পর্যন্ত কোন পথে এগিয়ে যায় তাই এখন দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।