“যোগ্যদের কেন বঞ্চিত করা হবে?”, দাবি চাকরিপ্রার্থীদের
মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন পুরোদস্তুর ভোটের হাওয়া। আর এরই মধ্যে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam ) নিয়ে বিরাট রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court )। একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। অতিরিক্ত পদে নিয়োগকারীদের প্রয়োজনে নেওয়া যাবে হেফাজতে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। রাজ্য জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
তবে আদালতের এই রায়ে সম্পূর্ণ খুশি হতে পারছেন না আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র সহ অন্যান্যরাও। উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে এই রাসমণিই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের ১০০০তম দিনে প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। মঙ্গলবার বিচারপতির রায় শুনে রাসমণি বলেন, “আদালত ও বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা ছিল। যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে তারা যে যথাযথ শাস্তি পেয়েছে সেটা কাম্য। সত্যের জয় হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “প্যানেল বাতিল (Recruitment Scam) আমাদের দাবি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল যে অন্যায় আমাদের সঙ্গে হয়েছে, যে চাকরিটা আমাদের চুরি হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমাদের ওএমআর সঠিক। আমরা র্যাঙ্কেও এসেছিলাম। তা হলে চাকরিটা কেন আমাদের দেওয়া হল না? আজকে রায়দানে পুরোপুরি খুশি হতে পারছি না। এখনও তো অনিশ্চয়তা রয়েছে। নতুন নিয়োগ (Recruitment) কবে হবে, কতদিনে প্যানেল প্রকাশ হবে তা এখনও সম্পূর্ণ দৃশ্যমান নয় আমাদের কাছে।”
আরও পড়ুনঃ “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর
সর্বোপরি ধর্নামঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীদেরও বক্তব্য, “অবৈধ উপায়ে চাকরি (Recruitment Scam) পাওয়া ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কেন বঞ্চিত করা হবে।” উল্লেখ্য মঙ্গলবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে, টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট (OMR Sheet) পুনর্মূল্যায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমস্ত ওএমআর শিটের কপি আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।