img

Follow us on

Saturday, Nov 23, 2024

Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

Calcutta High Court: গত ছ’বছরে যত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের হিসাবও রাজ্যের কাছে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

img

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

  2023-01-19 18:55:03

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের পরে রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত সরকারি স্কুল আছে, তাতে যতজন নিয়োগ হয়েছেন, তাদের সকলের নিয়োগ পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির এই নির্দেশে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি করছেন ছেলে। এই মামলার শুনানিতেই আজ এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বসু। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে গত ছ’বছরে যত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের হিসাব রাজ্যের কাছে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পাশাপাশি বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই হিসাব বা রিপোর্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।

মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক মামলায় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি

বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির পুত্র অনিমেষের বিরুদ্ধে এক পাস করা শিক্ষকের নিয়োগপত্র জাল করে প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গত তিন বছর ধরে তিনি বেতনও পেয়েছেন। অথচ জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নিয়োগের কোনও নথিই ছিল না! ঘটনাটি জানার পরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “একজন ভুয়ো শিক্ষক তিন বছর ধরে চাকরি করছেন, আর সেই জেলার ডিআই তা জানেন না? কীভাবে সম্ভব?” নিয়োগপত্রে নাম না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ‘শিক্ষক’ এতদিন বেতন পেলেন?  এরপরই গোটা ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি আরও বলেন, “তবে তো এমন অনেক জালিয়াতিই হয়ে থাকতে পারে, যার এখনও খবরই নেই রাজ্যের কাছে!” তার পরেই এমন নির্দেশ দিলেন ডিআইয়ের।

আরও পড়ুন: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের

গত ছ’বছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে স্কুলে নিয়োগের একটিই পরীক্ষা হয়েছে। তবে বেশ কয়েক দফায় নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর। এদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ১১,৪২৫ জন। এ ছাড়াও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক, ৪৪৮৭ জন গ্রুপ-ডি কর্মী এবং ২,০৩৭ জন গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারপতি বসুর নির্দেশে এ বার এই সমস্ত চাকরিই নিয়োগপত্র পেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআইরা।

Tags:

Calcutta High court

Teacher Recruitment

ssc scam

justice biswajit basu


আরও খবর


ছবিতে খবর