Calcutta High Court: ত্রিধারা কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে কলকাতা হাইকোর্টে
ধৃতদের স্লোগানে ঘৃণাভাষণ ছিল না, ত্রিধারা কাণ্ডে মন্তব্য হাইকোর্টের (প্রতীকী ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ত্রিধারা পুজো (Tridhra Arrest Case) মণ্ডপের সামনে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোয় নয় ছাত্রকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এনিয়েই হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্যকে। উচ্চ আদালতের মন্তব্য, ‘‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না।’’ প্রসঙ্গত, সপ্তমীর সন্ধ্যায় ওই প্রতিবাদের মধ্যে হুড়োহুড়িতে তিন জন পুলিশকর্মী নাকি আহত হয়েছে বলে দাবি করে প্রশাসন। এনিয়ে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘আহতদের’ কেবল ব্যথানাশক এবং হজমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ধৃত ৯ জনকেই আলিপুর আদালতে তোলা হয়, সেখানে তাঁদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানানো হয়। ত্রিধারা-কাণ্ডে (Tridhra Arrest Case) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার ধৃতদের জামিনের নির্দেশ দেন।
শুনানির শুরুর দিকে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে কী ভাবে অভিযুক্তদের নাম জানতে পেরেছিলেন অভিযোগকারী বিট্টুকুমার ঝা, যার ভিত্তিতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় দায়ের হল অভিযোগ? রাজ্য জবাব দেয়, অভিযুক্তরা একে অপরের নাম ধরে ডাকছিলেন! রাজ্যের আরও দাবি, ধৃতদের মাধ্যমে নাকি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জিও জানায় রাজ্য। অন্য দিকে, ধৃতদের আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘‘পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ‘কেস সাজানো হচ্ছে, ‘ন’জনের অপরাধ কী? প্রতিবাদ জানানো কি অপরাধ (Tridhra Arrest Case)? পুলিশ কী ভাবে প্রতিবাদে হস্তক্ষেপ করে?’’ শুনানির শেষে ধৃতদের ১ হাজার টাকা বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত। বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘ত্রিধারার পুজোমণ্ডপের ঘটনায় শুধুমাত্র হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট এবং প্ল্যাকার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের স্লোগানে ঘৃণাভাষণ ছিল না। ধর্মীয় ভাবে কাউকে তাঁরা কাউকে আঘাত করেননি। অনেক সাধারণ মানুষই ওই স্লোগান দিচ্ছিলেন।’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘ধৃতদের প্রত্যেকের কম বয়স। বেশির ভাগেরই বয়স ২০-২৫ বছর। অত্যুৎসাহী হয়ে তাঁরা ওই কাজ করে থাকতে পারেন।’’
প্রসঙ্গত, সপ্তমীতে ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে স্লোগান দেওয়ায় গ্রেফতার হন, আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল, কলকাতার দমদমের বাসিন্দা উত্তরণ সাহা রায়, ট্যাংরার বাসিন্দা কুশল কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা জহর সরকার এবং সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা নাদিম হাজারি, হাসনাবাদের বাসিন্দা ঋতব্রত মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা চন্দ্রচূড় চৌধুরী এবং রহড়ার বাসিন্দা দৃপ্তমান ঘোষ। জামিনের আবেদনে (Calcutta High Court) শুক্রবার দুপুরে শুরু হয় শুনানি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।