"মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক..."
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। তার জেরে মঙ্গলবার রাজ্যপালের দফতরের হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হলফনামা জমা দিতে হবে ৪ অক্টোবরের মধ্যে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে চাওয়া হয় হলফনামা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ অক্টোবর।
মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের যে বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে, তা আটকে রেখে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করেছেন রাজ্যপাল। এদিন মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবীকে আদালতের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যদি সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়, তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোনও একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারে না? ডানদিকে হোক, বামদিকে হোক বা কেন্দ্রে হোক, যেখানেই হোক, কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ রাজ্যপালকে আদালত জানাতে পারে না? এই ধরনের সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের কৈফিয়ত তলব করা যায় না, সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, কিন্তু যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধও কি আদালত করতে পারে না?”
কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “সংবিধান রাজ্যপাল সহ একাধিক সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাঁরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিচয় গোপন করে তিনি মামলা করেছেন। তাই এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।”
রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন (Calcutta High Court), “একটি বিল যাওয়ার পরে রাজ্যপাল তিনটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত, তিনি বিলে সম্মতি জানিয়ে সই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তিনি পরামর্শ দিয়ে বা না দিয়ে পুনরায় বিবেচনার জন্য বিধানসভায় বিলটি ফেরত পাঠাতে পারেন। তৃতীয়ত, তিনি বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। বিলটি তাঁর কাছে যাওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও, রাজ্যপাল এই তিনটি পদক্ষেপের কোনওটিই করেননি।
আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ও রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পর ২০২২ সালের ১৫ জুন বিলটি পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। বিলটিতে তিনি সই করলে সেটি আইনে পরিণত হত। রাজ্যপাল বিলটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এর প্রেক্ষিতেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা (Calcutta High Court)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।