চুরির মামলায় নিশীথের গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ
নিশীথ প্রামানিক।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই চুরির মামলায় নাম জড়ায় নিশীথ প্রামাণিকের। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আলিপুরদুয়ার আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবার গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি
২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই মামলায় নাম জড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। বুধবার হাইকোর্টে নিশীথের আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন,সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় পুলিশ মিথ্যে ফাঁসিয়েছে। গত ১১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হতে তাঁর মক্কেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর মক্কেল ওইদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানিয়ে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানান। কিন্তু, তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরই আলিপুরদুয়ার আদালত নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নিশীথ। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারির ৭ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে একদিন আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজির হতে হবে নিশীথ প্রামাণিককে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?
চুরির ঘটনায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম জড়াতেই আসরে নামে তৃণমূল। তবে তৃণমূলের আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে চাননি নিশীথ। গতকালই জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আদালতকে আমরা সম্মান করি। তবে এগুলো মিথ্যে মামলা। রাজনীতিতে এরকম মিথ্যে মামলা হয়। রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেও এরকম মামলা রয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।