Calcutta High Court: অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট! ভুয়ো চাকরির তদন্তে সিআইডি-কে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খোঁজার নির্দেশ
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় (Recruitment Scam) রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে ছেলে অনিমেশ তিওয়ারিকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় ৭ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাক সিআইডি নাহলে তদন্ত স্থানান্তর করা হবে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।” তদন্তে রাজ্য কাউকে আড়াল করতে চাইছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “আপনাদের উপর ভরসা রেখে তদন্তের ভার সিবিআইকে না দিয়ে সিআইডিকে দিয়েছিলাম। আপনারা কি আমার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইছেন?” বুধবারই মামলায় সিআইডির তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে আদালত। হস্পতিবার অবশ্য ডিআইজি হাইকোর্টে আসেননি। এই মামলার জন্য গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার জন উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, "আদালত আশা করে এই ধরনের একটা মামলার সময় তদন্তকারী দলের দায়িত্বশীল কোনও আধিকারিক আদালতে উপস্থিত থাকবেন। তদন্তকারী দলে কারা কারা আছেন? ডিআইজি-সিআইডিকে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সেই নামগুলো কোথায়?"
আরও পড়ুন: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি
বিচারপতি এদিন আরও বলেন, "এখানে শুধুমাত্র অনিমেষ তিওয়ারির ঘটনা উদঘাটনে সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের যদি কোনও কিছু লুকনোর না থাকে সেক্ষেত্রে তা করা উচিত। আর যদি রাজ্য কিছু চাপা দিতে চায় সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। এসএসসি খোঁজ করার চেষ্টা করছে যে কাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হল। এটা তো সিআইডি-র খোঁজার কথা।" বিচারপতি আরও বলেন, “এটা একটা সুপরিকল্পিত চক্র। তা কেবলমাত্র একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এতদিন হয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু লোক এখনও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে, বেতন পাচ্ছে। অথচ তাদের কোনও রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। ১৫ দিন সময় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাতদিন মানে সাতদিন। ব্যক্তি নয়, একটা দল হিসেবে কাজ করুন।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।