বগটুইয়ে ভাদু শেখের খুনের নেপথ্যেও রয়েছে...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্বন স্লিপের মাধ্যমে পাথর বোঝাই লরির চালকদের কাছ থেকে ফি দিন আদায় হয় কাঁচা টাকা। সম্পূর্ণ ক্যাশে আদায় হয় অর্থ। সরকারিভাবে স্লিপ দেওয়া হলেও, আদায় করা অর্থ জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। কারণ স্লিপটি নকল। বীরভূমে (Birbhum) প্রতিদিন এভাবে প্রায় ৩ কোটি টাকা তোলাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রামপুরহাট পুরসভার কাউন্সিলর, সঞ্জীব মল্লিক।
ওই মামলায় আদালত মনে করছে, এতে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার, তেমনি অযথা দাম বেড়ে যাচ্ছে পাথরের। বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধি শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, অবিলম্বে এই বিষয়ে আবেদনকারীকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। রাজ্য সরকারকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। রাজ্যের লিগ্যাল রিমাম্ব্রান্সরকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের (Birbhum) কাউন্সিলরের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মুরারই, রামপুরহাট, মহম্মদবাজার, নলহাটি সহ বীরভূম জেলার ছটি জায়গা থেকে কার্বন স্লিপের মাধ্যমে পাথর বোঝাই লরির ড্রাইভারদের কাছ থেকে কাঁচা টাকা আদায় করা হয়। সরকারিভাবে ওই স্লিপ দেওয়া হলেও, আদায় করা টাকা জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। কারণ স্লিপটি জাল। জাল ওই স্লিপটিও এদিন আদালতে পেশ করেন মামলাকারীর আইনজীবী।
আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও
বীরভূমে এই অর্থ আদায় নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে দুই গোষ্ঠীর। অন্তত আবেদনকারীর দাবি এমনই। তাঁর মতে, বগটুইয়ে ভাদু শেখের খুনের নেপথ্যেও রয়েছে এই পাথর খাদানের তোলা বাঁটোয়ারার বিষয়টি। বগটুইকাণ্ডের পর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও, ফের সেই তোলাবাজি শুরু হয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা নগদে আদায় হলেও, রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়ছে না। চলছে বেআইনি লেনদেন। তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লোকজনই একাজ করছে বলে অভিযোগ। বিচারপতি মান্থা বলেন, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনা বিশেষ জরুরি। তাই ফের সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আবেদনকারীকে।