বিলাসবহুল ওই গাড়িগুলির মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
অনুব্রত মণ্ডল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) চালকলে হানা দিল সিবিআই (CBI)। মিলল পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রতিটিতে তৃণমূলের স্টিকার লাগানো। এই গাড়ির মালিক কে? কী কাজে ব্যবহার করা হত এই গাড়িগুলি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুপুপ এঁটেছেন মিল কর্মীরা। স্থানীয়দের দাবি, প্রায়ই ওই মিলে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা।
শুক্রবার সকালে প্রায় সোয়া দশটা নাগাদ ভোলে ব্যোম রাইস মিলে প্রবেশ করে সিবিআই। তবে শুরুতে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠে এসেছিল। দরজার তালা খোলা নিয়ে বেশ অনেকক্ষণ টালবাহানা চলে। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন , তাঁদের কাছে চাবি নেই। প্রায় মিনিট ৪০ পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর বোলপুরের ওই ভোলে ব্যোম রাইসমিল আসলে অনুব্রতের স্ত্রী এবং মেয়ের নামে। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা ওই মিলে বসতেন। প্রায় ৪৫ বিঘা জায়গার ওপর অবস্থিত ওই রাইসমিল।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের 'প্রাণভোমরা'! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?
সিবিআই সূত্রে খবর, চালকলের ভিতরে প্রবেশ করে তদন্তকারী অফিসারদের চোখ যায় একটি জায়গায়। সেখানে সার দিয়ে একের পর এক ঝকঝকে এসইউভি দেখতে পান তাঁরা। ওই গাড়িগুলির মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঝকঝকে সেই সব গাড়িতে আবার সাঁটানো রয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার। রয়েছে পাইলট কারও। পাশাপাশি, নিরাপত্তা রক্ষীরা কেন আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গেট খোলেননি, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরে এই চালকলটি বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এত কর্মী ভিতরে কী করছেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
গরুপাচার মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত সহ তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের সম্পত্তি। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্থানীয় সূত্রের খবর ২০১১ সালের আগে এই রাইস মিল অনুব্রত মণ্ডলের ছিল না। ছিল অন্য কারও হাতে। ২০১৩ সালে অনুব্রত মণ্ডল তা কিনে নেন। সূত্রের খবর, আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে চালকলটি কেনেন অনুব্রত। এ-ও জানা যাচ্ছে, ওই চালকল বিক্রি করতে আগের মালিক হারাধন মণ্ডলকে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। ব্যবসা চালাতে না পেরে কলটি বিক্রি করে দেন তিনি।