Cattle Smuggling: ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি..
সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে সিবিআইয়ের হানা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের ব্যাঙ্কে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি বড় টিম পৌঁছল সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে এমন অনেকগুলি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা বেনামে খোলা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাহায্যেও গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করা হত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যবাসীর মনে।
আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করার জন্য খাদ্য দফতরকেও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হত ওই সব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। খাদ্য দফতরে যে চাল বিক্রি হয়েছিল অনুব্রতর মিল থেকে, সেই টাকা জমা পড়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কিন্তু কার সইয়ে এই লেনদেন হত, তা জানা যায়নি। এভাবে গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আর এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে এদিন ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই।
ওই সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে ধমক দেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন আপনি!” তিনি প্রশ্ন করেন, "কার নির্দেশে তা করা হয়েছে? অ্যাকাউন্ট খুলতে কে এসেছিলেন? আপনি নাম বলুন।” আবার সুশান্তবাবু ম্যানেজারকে সহযোগিতা না করলে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব লেনদেনও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির লেনদেনের তথ্য সামনে এলেও পরবর্তীতে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে সিবিআই।