কেষ্ট-কন্যা সুকন্যাও রয়েছেন সিবিআইয়ের নজরে। তাঁরও সব ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কী ভাবে মামলার বিপুল খরচের জোগান আসছে, প্রশ্ন তুলছেন তদন্তকারীরা।
অনুব্রত মণ্ডল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে চার মাস হল জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই সময়ে ইডি ও সিবিআই তাঁর অগাধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ফ্রিজ করা হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে আইনি লড়াইয়ে নামজাদা সব আইনজীবীর খরচের জোগান আসছে কোথা থেকে? এবার সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করল সিবিআই ও ইডির তদন্তকারীরা।
হাজতবাসের চার মাসে আসানসোল ও কলকাতার বিভিন্ন আদালতে হাজিরার পর্বে অনুব্রত দাবি করে এসেছেন, ‘আমি নির্দোষ। আমার আয়ও তেমন নয়!’ বিরোধীদের দাবি, যাঁর ‘আয় তেমন নয়’, আদালতে তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন সেই সব প্রথিতযশা আইনজীবী, যাঁদের মধ্যে কারও কারও এক দিনের ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফিজ়’ বা হাজিরা বাবদ পারিশ্রমিক ৩৫ লক্ষ টাকা! অনুব্রত ওরফে কেষ্টর হয়ে আইনি লড়াইয়ের এই বিপুল ‘ব্যয়ভার’ তা হলে কে বা কারা সামাল দিচ্ছেন? সেই সন্ধান অনিবার্য হয়ে পড়েছে ইডি-র কাছে। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যাও রয়েছেন সিবিআইয়ের আতশ কাচের তলায়। তাঁরও সব ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কী ভাবে মামলার বিপুল খরচের জোগান আসছে, প্রশ্ন তুলছেন তদন্তকারীরা।
অনুব্রতর হয়ে সওয়াল করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কপিল সিব্বলের এক দিনের হাজিরার পারিশ্রমিক প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। সেটা দিল্লিতে। আর দিল্লির বাইরে কোথাও সওয়াল করতে গেলে খরচ পড়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, ‘‘ওই সব আইনজীবী তো নিখরচায় অনুব্রতের হয়ে লড়াই করছেন না। তা হলে খরচটা জোগাচ্ছে কে?’’ আইনজীবী মহল জানাচ্ছে, অনুব্রতের হয়ে সওয়াল করা অন্য এক কৌঁসুলিও দৈনিক হাজিরায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিচ্ছেন। সেই খরচই বা আসছে কোথা থেকে?
আরও পড়ুন: "লজ্জাজনক... সব নিয়োগ বাতিল করে দেব", অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর
অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ইডি জেরা করবে কি না, সেই সংক্রান্ত মামলা চলবে নিম্ন আদালতেই অর্থাৎ দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে। বৃহস্পতিবার এই মামলায় এমনই জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ জানুয়ারি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।