সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিললেও তলব সিবিআইয়ের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিললেও নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস ধরাল সিবিআই। আগামী কাল, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অভিষেককে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দরকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জেরা করা যেতে পারে বলে সম্প্রতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তার পরেও সোমবার দুপুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস ধরাল সিবিআই।
কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে(Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, দুপুর দেড়টা নাগাদ ইমেল মারফত নোটিস পৌঁছয় অভিষেকের কাছে। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) নির্দেশেই সোমবারই স্বস্তি পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সম্প্রতি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশনামায় উল্লেখ ছিল, কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি মনে করে, তাহলে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। এদিন শীর্ষ আদালত ওই মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ (Interim Stay) দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, কুন্তলের চিঠির বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সিবিআই। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৪ এপ্রিল।
এখন প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্রের খবর, স্থগিতাদেশ থাকার পরেও এই নোটিসের কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্য়েই অভিষেকের আইনজীবীরা আদালত অবমাননার মামলা করতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বড় বড় উকিলদের ধরে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন তিনি। প্রচুর টাকাও খরচ করেছেন। আমাদের প্রশ্ন এখানেই… এই সামান্য সামান্য ব্যাপারে সিবিআই বা ইডি যদি প্রশ্ন করতে চায়, তাতে ভয়ের কী আছে? সাময়িকভাবে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন, কিন্তু এই স্বস্তি চিরস্থায়ী নয়।’
আরও পড়ুন: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ করছেন যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছেন। জেল থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সে প্রসঙ্গে নিম্ন আদালতের বিচারককে চিঠিও লিখেছিলেন কুন্তল। গত বুধবার কুন্তলের অভিযোগের বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে তুলেছিল ইডি। গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেকও (Abhishek Banerjee) দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাচক্রে, কুন্তলও তার পরে একই অভিযোগ করেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই সভায় অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির কোথায় সাযুজ্য রয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।