নিয়োগ-দুর্নীতিতে প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কী পেল সিবিআই?
মিডলম্যান প্রসন্ন রায় (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। বুধবার তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিবিআই। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ন'টার পর নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (Recruitment Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি রয়েছে বলে খবর ছিল তাঁদের কাছে। ধৃত (Recruitment Scam) মিডলম্যান প্রসন্ন রায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, বুধবার যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয় সেটি প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীর নামে রয়েছে। সেখান থেকে এদিন বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটের তল্লাশি (Recruitment Scam)। তবে এই প্রথম নয়, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে সিবিআই আগেও তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মিডলম্যান প্রসন্ন করতেন গাড়ির ব্যবসা
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রসন্ন রায়কে (Recruitment Scam)। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি মেলে এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে গাড়ি ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন প্রসন্ন রায়। তাঁর ওই সংস্থার অফিস ছিল উত্তর কলকাতায়। প্রসন্ন রায়ের সংস্থার এক কর্মীর দাবি, শিক্ষা দফতরেও গাড়ি ভাড়া দিতে দেখা যেত প্রসন্ন রায়কে (Recruitment Scam)। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা এই নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার অফিসেও একাধিকবার গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন প্রসন্ন। সেই সূত্রেই কি নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িয়ে পড়া তাঁর? এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত চলছে ২০২২ সাল থেকে
নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) গ্রেফতারি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রথম গ্রেফতার হন ইডির হাতে। এরপরে তৃণমূলের ছোট, বড়, মাঝারি অনেক নেতাই গত এক বছরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় আটক হয়েছেন। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়কার একাধিক শিক্ষা আধিকারিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই দুর্নীতির জাল যে অনেক দূর পর্যন্ত রয়েছে তা স্বীকার করে নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (Recruitment Scam)। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার সন্দেহে ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।