গণতান্ত্রিক সমাজে এক দিনের জন্য রাজতন্ত্র পালিত হয় এই গ্রামে...
কেতুগ্রামে এক দিনের জন্য রাজা রাজ্য পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এ যেন এক দিনের জন্য রাজতন্ত্র উদযাপন। এক দিনের জন্য রাজা রাজপোশাকে সজ্জিত হয়ে পার্ষদ এবং সৈন্যসামন্ত নিয়ে রাজ্য ভ্রমণে বের হন। রাজ্যে ভালো কাজের জন্য দেওয়া হয় পুরস্কার আবার খারাপ কাজের জন্য দেওয়া হয় শাস্তি। কার্যত একশো বছর ধরে রাজা, প্রজা সাজেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কেতুগ্রামের বহরান গ্রামের গ্রামবাসীরা। এই গ্রামে সোমবারের এক পুজোতে অনেক রাজনৈতিক মানুষ এসে জমায়েত হন। জাপট এলাকায় ভবাপাগলার মন্দিরে এসে অনেকে পুজো দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) এবং মুর্শিদবাদ জেলার সীমান্তে এই কেতু গ্রাম অবস্থিত। ১২ বছর পর পর আসে এই দিন। এই দিনে জয়দুর্গা পুজো হয় আর এরপর ফিরে আসে গ্রামে রাজতন্ত্র। এই গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের ব্যক্তিকে রাজা সাজিয়ে ঘোড়ায় চাপিয়ে সৈন্য সামন্ত নিয়ে পরিদর্শন করান হয় গোটা গ্রাম। এই গ্রামকে মনে করা হয় রাজার রাজ্য। রাজ্যে বেরিয়ে রাজা প্রজাদের সুখ-দুঃখের খবর নেন। এই বারের রাজা হয়েছেন এই গ্রামের ৮৫ বছরের অম্বিকাপ্রসাদ চট্টরাজ।
গ্রামের (Purba Bardhaman) মানুষদের মধ্যে বেয়াদব প্রজা দেখলেই রাজা শাস্তি দেন। নিজের কাজ ঠিক মতো না করলে শাস্তি দেন। দোকান ঠিক মতো না খোলা, মিস্ত্রি ঠিক মতো কাজ না করলে রাজা শাস্তি দেন। তবে মৃত্যুদণ্ড বা কারাবাস নেই। আর চাবুকের ঘাও নেই রাজ্যে। তবে কিছু কিছু টাকা জরিমানা দিতে হয় শাস্তি হিসাবে।
আরও পড়ুনঃ “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে, বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট”, কল্যাণকে আক্রমণ কবীরের
এক দিনের রাজা সেজে রাজা অম্বিকাপ্রসাদ চট্টরাজ বলেন, “১৫ বছর বয়স থেকে এক দিনের জন্য রাজা সেজে আসছি। রাজা জরিমানা করে যে অর্থ আদায় করেন, সেই টাকায় পুজো করা হয়।” এই এক দিনের রাজার রাজত্ব দেখার জন্য আশেপাশের (Purba Bardhaman) এবং দূরের লোকজন এসে উপাস্থিত হন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।