BJP: বাহিনী তুলতেই শান্তিপুরে গণনা কেন্দ্রে তৃণমূলীদের তাণ্ডব
গণনা কেন্দ্রে কাজ বন্ধ রেখে ভোট কর্মীদের বিক্ষোভ (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনেই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। আর এর পরই প্রশাসনের চাপে রহস্যজনক কারণে গণনা কেন্দ্র থেকে তুলে নেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বালিকা বিদ্যামন্দিরে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যেতেই স্ট্রং রুমের ভিতরে শুরু হয় তৃণমূলীদের তাণ্ডব। বহিরাগতরা এসে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কার্যত দাপিয়ে বেড়ায়। বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে বেধড়ক মার দেওয়া হয়। ব্যালট বাক্স লুট চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে ভোট কর্মীরা কার্যত কাজ বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় ভোটের গণনা। তৃণমূলীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান।
বিজেপি (BJP) কর্মীদের বক্তব্য, এদিন সকাল থেকে সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। গণনায় অধিকাংশ আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেটাই তৃণমূল মেনে নিতে পারল না। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়া হল। এর পরই বহিরাগতরা গণনা কেন্দ্রের দখল নেয়। ভিতরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কার্যত তাণ্ডব চালায়। বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে মারধর করা হয়। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখাই।
গণনা কেন্দ্রের সামনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তড়িঘড়ি তাঁকে ধরে ফেলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। কোলে তুলে দৌড়াতে দৌড়াতে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তাঁকে। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমে অভিযোগ ওঠে সেখানকার কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীরা রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলর আসেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার। গণনা কেন্দ্রের বাইরে সে বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত এবং এসডিপিও-র সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন তিনি। এরপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
এদিন সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে গণনা চলছিল। বেশ কিছুক্ষণ গণনা হওয়ার পর দফায় দফায় প্রশাসনের আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেন। বহুবার আলোচনার পর আচমকাই কেন্দ্রীয় বাহিনী গণনা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই ভোট কর্মীরা গণনা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ভোট কর্মীদের বক্তব্য, আচমকা কী করে, কার নির্দেশে এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হল? এখন কার্যত বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অবস্থায় গণনা করা সম্ভব নয়। আমাদের পরিবার রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই, কাজ বন্ধ রেখেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া গণনা করব না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।