Agitation: ধর্মতলায় মিছিলের অনুমতি নেই! জুনিয়র ডাক্তার, সিপিএম দুপক্ষই গেল আদালতে....
আন্দোলন করতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো শুরুর দুসপ্তাহ আগে কলকাতা পুলিশের নির্দেশ জারি করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, আগামী ২ মাস কলকাতা শহরের একাংশে বড় জমায়েত করা যাবে না। আরজি কর নিয়ে চলা আন্দোলনে (Agitation) লাগাম টানতেই কি পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোড়া মামলা দায়ের হল।
কলকাতা পুলিশের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। বউবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ধর্মতলা এলাকায় কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় জমায়েত বা মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। যে এলাকাগুলিতে পাঁচজনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে কি পুজোর সময় মানুষ যেতে পারবে না? বিভিন্ন মহলের তরফে এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। এবার হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম। কারণ ধর্মতলাতেই তাদের মিছিল করার কথা। পুলিশি অনুমতি না মেলায় তারা হাইকোর্টে গেল। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে! এর পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আবেদন জানা হয়েছিল পুলিশের কাছে। সেই কর্মসূচিও হওয়ার কথা শুক্রবার। কিন্তু অনুমতি না মেলায় তারাও আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে। সেই মামলার শুনানিও হতে চলেছে শুক্রবার।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের
কলকাতা পুলিশ হঠাৎ শহরের একাংশে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে সাফাই দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে বলে খবর এসেছে। সেই কারণে ধর্মতলা চত্বরের ওই এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে স্পষ্ট করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কারও হাতে লাঠি বা এই ধরনের কোনও 'অস্ত্র' দেখতে পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলাকারীর (Calcutta High Court) আইনজীবী শামীম আহমেদ বলেন, "যে এলাকার ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এই বিধিনিষেধ জারি করেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি পুজো হয়। আসলে আরজি কর নিয়ে পুজোর সময় যদি আবার মানুষ পথে নামে, তা আটকাতেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।" প্রসঙ্গত, সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার দুর্গাপুজো যে অন্যরকম হতে চলেছে, তা বলতে বাধা নেই। বিভিন্ন মণ্ডপে আরজি কর ইস্যুতে স্লোগান উঠতে পারে এমন সম্ভাবনা আছে। আবার কোথাও কোনও কর্মসূচিও হতে পারে পুজোর মধ্যে। এই সব নিয়ে পুলিশ যে প্রস্তুত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছেন নগরপাল। পুজোর মধ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণেই এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে বলে মত অনেকের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।