মমতা বীরভূম সফরে এর আগে যত বার এসেছেন, প্রত্যেক বারই পাশে পেয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা তাঁর স্নেহের ‘কেষ্ট’কে।
প্রচার তোরণ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে আজ, সোমবার বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোরণে তোরণে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বীরভূমের নানা প্রান্ত। সেখানে বড় বড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, একাধিক জনপ্রতিনিধির ছবি। কিন্তু ব্রাত্য অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আপাতত জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই তাঁকে দূরে রেখেই কী পরিকল্পনা সারতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? প্রশ্ন বোলপুরের অলিতে গলিতে।
জেলার বাসিন্দাদের কথায়, বীরভূমের যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানের প্রচারে অনুব্রতর ছবি থাকা কার্যত নিয়ম ছিল। সেই বোলপুরেই এবার ব্রাত্য একদা দিদির স্নেহ ধন্য কেষ্ট। কখনও জনসভা, কখনও প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বারেবারেই অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে দলনেত্রীকে। এমনকি বহু বার জেলা সফরে এসেও অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন মমতা। এর আগে গত বছর মার্চে বগটুইয়ের ঘটনার পরে পরেই মমতা বীরভূম সফরে এসেছিলেন । তখনও দলের জেলা সভাপতি তথা তাঁর স্নেহের কেষ্টকে পাশে পেয়েছিলেন দলনেত্রী। কিন্তু এখন জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এখন তিনি জেলে। তাই অনেকের মতে, দলীয় প্রচারে অনুব্রতর ছবি তোরণে থাকলে জনমানসে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সেকারণেই ফ্লেক্স থেকে উধাও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি।
আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত
অনেকের মতে, আসলে তৃণমূলের কর্মসূচির তোরণে যদি জেলবন্দির অনুব্রতর ছবি থাকে তবে প্রভাবশালী তকমায় ফের ভূষিত হতে পারেন তিনি। এর জেরে অনুব্রতর জামিন পেতে সমস্য়া হতে পারে। সেকারণেই তোরণ থেকে সুকৌশলে জেলবন্দি অনুব্রতর ছবি সরিয়ে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁকে বীরের আখ্যা থেকে শুরু করে নানা রকম আখ্যা দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত কোনও কিছুতেই কিছু না হওয়ায়, আজ দল থেকে ছেঁটে ফেলতেই ফ্লেক্স থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ কাজ অনেক আগেই করা উচিত ছিল তৃণমূলের।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।