img

Follow us on

Monday, Oct 14, 2024

Droher Carnival: ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধের চিঠি রাজ্যের, ‘হতাশাজনক’, জবাব ক্ষুব্ধ ডাক্তারদের

West Bengal: পুজোর কার্নিভাল ‘ফ্লপ’ হওয়ার আশঙ্কা? তাই কি রাজ্য় সরকার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধ করতে চাইছে?...

img

দ্রোহের কার্নিভাল বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে টিঠি রাজ্যের, আইনের সীমা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মাথায় রেখেই তাঁরা লড়াই জারি রাখবেন ঘোষণা ডাক্তারদের (সংগৃহীত ছবি)

  2024-10-14 14:53:45

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর, বিকেল ৪টের সময় রানি রাসমণি রোডে (West Bengal) ‘দ্রোহের কার্নিভালে’র (Droher Carnival) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ নাগরিক সমাজকেও সেই কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঠিক এই আবহে চাপে পড়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন ডাক্তারদের। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতায় পুজোর কার্নিভালও রয়েছে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত কারণ উল্লেখ করেই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কারণ কি শুধু নিরাপত্তাজনিত? রাজ্যের যুক্তি এমন যুক্তি মানতে পারছেন না অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, আরজি কর ইস্য়ুতে মমতা সরকারের  (West Bengal) বিরুদ্ধে যেভাবে গণরোষ তৈরি হয়েছে, তাতে ভীত হয়েই রাজ্য সরকার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধ করতে চাইছে। কারও কারও মতে, সরকারি কার্নিভালের দিনই দ্রোহের কার্নিভাল হলে দুটোর মধ্যে তুলনার জায়গা থেকে যাবে। আরজি করকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের আবেগ যে জায়গায় গিয়েছে তাতে দ্রোহের কার্নিভালে জনসমাগম সরকারি কার্নিভালের থেকে বেশি হতে পারে। ফ্লপ খেতে পারে মমতা সরকারের কার্নিভাল। সেকারণেই কি এবার দ্রোহের কার্নিভাল বন্ধে উঠে পড়ে লাগল সরকার?

আইনের সীমা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মাথায় রেখেই তাঁরা লড়াই জারি

মুখ্যসচিবের সেই ইমেলের পরই এ বার বিবৃতি সামনে এল সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’-এর। মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ (Droher Carnival) না করার জন্য মমতা সরকারের এমন বার্তাকে ‘হতাশাজনক’ বলেই জানিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন। প্রসঙ্গত, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের পাঠানো ইমেলে গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি নির্দেশের কথাও উল্লেখ ছিল। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও জানিয়ে দিয়েছেন, আইনের সীমা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মাথায় রেখেই তাঁরা লড়াই জারি রাখবেন।

কী বলছেন চিকিৎসক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক

সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে যুগ্ম আহ্বায়ক চিকিৎসক পুন্যব্রত গুণ এবং চিকিৎসক হীরালাল কোনার বলেছেন, “আমরা এক বারও বলছি না সরকারের কার্নিভাল (পুজোর কার্নিভাল) বাতিল করার জন্য। উদ্‌যাপনের সাংবিধানিক অধিকারকে আমরা সম্মান করি। একই ভাবে আমাদেরও অধিকার রয়েছে উৎসবে বিঘ্ন না ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানানোর। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সংহতিতে ১৫ অক্টোবর দ্রোহের কার্নিভাল (Droher Carnival) ডাকা হয়েছে। সরকারের তা প্রত্যাহার করতে বলা আমাদের কাছে হতাশাজনক।”

কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নেতা দেবাশিষ হালদার?

আ্ন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, যে কার্নিভালকে কোনওরকমভাবে ব্যাহত করা যাবে না। আমরা অবশ্যই সেটাকে মান্যতা দিই। যদিও আমরা মানসিকভাবে এই বিষয়টাকে মেনে নিতে প্রস্তুত নেই, যে বিচারহীনতার ৬৫ দিন কাটছে। অনশন চলছে। কিন্তু প্রশাসন কার্নিভালে মেতে উঠল, সেটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু আমরা পুলিশকে কোনও রকম সুযোগ দিতে চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার ধারগুলোতে মানববন্ধন করব।” আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ”দ্রোহের কার্নিভাল প্রত্যাহার করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু এটা করা মুশকিল। একদিকে ফূর্তি চলবে, আরেকদিকে ধর্ষণ, লুঠতরাজ চলবে, যাঁরা প্রতিবাদ করবে, তাঁদেরকেই পুলিশ পীড়ন করবে, এটা হতে পারে না।”

অসুস্থ তিন জুনিয়র ডাক্তার

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের বিচার এবং হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলার রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা। চলছে আমরণ অনশন কর্মসূচি, সোমবারই তার দশম দিন। প্রসঙ্গত,  তিন জন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কলকাতার অনশনমঞ্চের দু’জন এবং শিলিগুড়িতে এক জন জুনিয়র ডাক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বর্তমানে। নিজেদের বিবৃতিতে এই পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে চিকিৎসক সংগঠন জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতেও রাজ্য সরকার কার্নিভাল করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে তাঁরা ‘হতাশ’।

কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকার উদ্‌যাপনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে (Droher Carnival)

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকার উদ্‌যাপনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।” আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “আমরা পেয়েছিলাম, দ্রোহের কার্নিভাল (Droher Carnival) প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা করা মুশকিল। একদিকে ফূর্তি চলবে, আরেকদিকে ধর্ষণ, লুঠতরাজ চলবে, যাঁরা প্রতিবাদ করবে, তাঁদেরকেই পুলিশ পীড়ন করবে, এটা হতে পারে না।” জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর দাবি, “সরকারি কোনও উদ্যোগে তো আমরা আপত্তি করছিল না। আপনাদের পুজোর কার্নিভালে আমরা আপত্তি করছি না আপনারা কেন করছেন? তাহলে রাজপথে হচ্ছে আন্দোলন। সেখানে কেন আপত্তি করা হচ্ছে। সরকার প্রতিবাদের কার্নিভাল বন্ধ করতে যত না তৎপর ততটা তৎপর যদি সরকার অপরাধ দমনে করত তাহলে বাংলার এই অবস্থা হত না।”  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

West Bengal

bangla news

Bengali news

chief secretary west bengal

droher carnival


আরও খবর


ছবিতে খবর