JCB: চোপড়ায় খুন-সহ একাধিক অপরাধকাণ্ডে জড়িত তাজমুল ওরফে ‘জেসিবি’…
জেসিবি ওরফে তাজমুল হক। নিজেস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'জেসিবি' (JCB) আসল নাম তাজমুল হক। এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত তিনি। যদিও তৃণমূলের কোনও পদে নেই বলেই বর্তমানে দাবি করছেন স্থানীয় বিধায়ক হামিদুল রহমান ও জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এর আগেও একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষের দিন চোপড়ার (Chopra) সিপিএম কর্মী মনসুর আলিকে গুলি করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এই তাজমুল ওরফে জেসিবি।
তাঁর কর্মকাণ্ডে সমাজিক মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। ‘ইনসাফ’ সভার নামে এক তরুণ-তরুণীকে প্রকাশ্য রাস্তায় মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করেছেন। তরুণের শরীরে ছিলা না জামা, তরুণীর পরনে ছিল নাইটি। হাত পিছনে বেঁধে ঘোরান হচ্ছিল। কার্যত তালিবানি কায়দায় অত্যাচার করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন জেসিবি। তাঁর বাড়ি চোপড়ার (Chopra) লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কোর কমিটির চেয়ারম্যান তিনি। পুলিশ প্রশাসন তাঁর দাপটে ভয় পায়। এলাকার কোনও মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে চান না। কার্যত এই এলাকা ছিল তাঁর স্বাধীন সাম্রাজ্য।
শুধুমাত্র শাসকদলের নেতা হওয়ায় পুলিশের কাছে প্রতিবার ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন তাজমুল (JCB)। সমাজ বিরোধী কাজ হিসেবে লুটপাট, খুন এবং তোলাবাজি সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুলি করে হত্যা করেছিলেন সিপিএম কর্মীকে। এই বিষয়ে সিপিএমের দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের মিছিলে গুলি করেছিলেন এই অভিযুক্ত তাজমুল। প্রথমে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলেও ১৫ দিন পর ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন।” আবার উত্তর দিনাজপুরের (Chopra) কংগ্রেস ব্লক সভাপতি মাসিরুদ্দিন বলেছেন, “আমাদের জোটের মিছিলে গুলি করেছিলেন তাজমুল। এক সিপিএম নেতা মারা গিয়েছিলেন। অনেকে জখম হয়েছিলেন। এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী জেসিবি।”
রবিবার জেসিবিকে চোপড়া থেকে (Chopra) গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ স্বতঃপ্রণেদিত ভাবে মামলা দায়ের করেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মহিলাকে শ্লীলতাহানি এবং বলপ্রয়োগ করার অভিযোগও দায়ের করছে পুলিশ। পুলিশ ৩২৩, ৩২৫, ৩৫৪, ৩০৭ ও ৩৪ আইপিসি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!
চোপড়ার (Chopra) তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ব্যাখ্যা আরও ভয়ানক। তিনি বলেছেন, “মুসলিম রাষ্ট্রে সামাজিক আচার বিচার হয়েই থাকে। সমাজকে খারাপ করছিল। তাই গ্রামে সালিশি বসানো হয়েছিল। তাই শাসন করতে গিয়েছিল। কিন্তু যেটা করেছে, একটু বেশি বেশি করে দিয়েছে। তার জন্য আমরাও দুঃখিত।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।