রাজ্যে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে, যেটা সকলেই জানে। কিন্তু ভয়ের কারণে, কেউ সেসব বিষয়ে কথা বলতে চায় না।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও আমলাতন্ত্র নিয়ে ফের একবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (governor Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করতে বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের উচিত একসঙ্গে গর্জে ওঠা, অভিমত রাজ্যপালের। ঝটিকা সফরে বুধবার দার্জিলিংয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জিটিএ (GTA) নির্বাচনের পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই পাহাড়ে পা রাখেন তিনি। এদিন তিনি সকালে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় নেমে সোজা সড়কপথে চলে যান দার্জিলিং। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের লালকুঠিতে জিটিএ (GTA)-র চিফ এগজিকিউটিভের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে।
WB Guv appeals to Civil Society, Intelligentsia and Media to break silence and highlight worrisome governance scenario of extreme appeasement, communalised patronage, Mafia Syndicate Extortion in state as this would help enhancing of democratic values & human rights protection. pic.twitter.com/hqPXp5GMiT
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 13, 2022
">
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, রাজ্যে প্রশাসনিক অনেক সমস্যা রয়েছে, যেটা সকলেই জানে। কিন্তু ভয়ের কারণে, কেউ সেসব বিষয়ে কথা বলতে চায় না। তিনি সমাজের বুদ্ধিজীবীদের অনুরোধ করেন, রাজ্যের সমস্যাগুলি নিয়ে যেন তাঁরা সরব হন। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানান, ‘নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চুপতা আমার কাছে খুব বেদনাদায়ক। আর্থিক বিষয়ে ও আমলাতন্ত্রে সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা ও সাম্প্রদায়িক ক্ষমতায়ন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা বাস্তবে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বিরোধী। নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের সেই বিষয়ে সরব হওয়া উচিৎ। হাইকোর্টের মত অনুযায়ী রাজ্যের প্রত্যেক কোনায় তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এসব আইনের ভূমিকা নয়। এটা একমাত্র শাসকের শাসন চললেই হয়। গণতন্ত্রে এসবের জায়গা নেই। বিভিন্ন সময়ে শাসকদল রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিল্পের কথা বললেও আদতে তার দেখা নেই। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়ছে নানা আর্থিক দূর্নীতিতে। অথচ মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন সুশীল সমাজ। প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না বুদ্ধিজীবিদের। এটা সমাজের পক্ষে ভয়ংকর। রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক করতে হলে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সুশীল সমাজকে।’ যতদিন পর্যন্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে সমাজ গর্জে না উঠবে ততদিন পর্যন্ত এ রাজ্যের হাল ফিরবে না বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির
গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) নির্বাচনের পর পাহাড় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার জিটিএর নবনির্বাচিত ৪৫ জন সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। তবে চেয়ারম্যান পদে এখনও শপথ নেওয়া বাকি অনীত থাপার। এমতাবস্থায় রাজভবনে অনীত থাপাকে শপথগ্রহণ করাতেই পাহাড়ে রাজ্যপাল। প্রোটোকল মেনেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি জিটিএ নিয়ে পুরো বিষয়টিও বুঝে নিতে চাইছেন ধনকড়।