কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ১৫৫ নম্বরে রয়েছে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নাম।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আজই ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাতিল হওয়া চাকরির তালিকায় নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝির। অভিযোগ রয়েছে, গ্রুপ সি পদে অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইঝি বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়।
এই বৃষ্টি মুখোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই নিহার মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে। বৃষ্টির বাড়ি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ১৫৫ নম্বরে রয়েছে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নাম। এ বিষয়ে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের (Recruitment Scam) বাবা নীহার মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, আগেই মেয়ে চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়েছিলেন বৃষ্টি। তিনি বলেন, "কদিন মাত্র চাকরিতে গিয়েছিল মেয়ে। বেতন বাবদ একটা টাকাও নেয়নি। শারীরিক ভাবে আমার মেয়ে অসুস্থ। নিজেই আমাকে বলেছিল যে সে চাকরি করতে পারবে না।"
আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লার্ক পদে চাকরি পেয়েছিলেন বৃষ্টি (Recruitment Scam)। কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তার চাকরি বাতিল করে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ করে সেই তালিকায় বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নাম দেখা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি হল রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত চাকাইপুর। চাকাইপুরের পাশেই রয়েছে কুসুম্বা, যা হলো মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি (Recruitment Scam)। মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই নিহার মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে বৃষ্টির বিয়ে হয় রামপুরহাট থানার অন্তর্গত আয়াস গ্রামে। যদিও বর্তমানে তিনি কলকাতায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে।
কীভাবে বৃষ্টি চাকরি পেয়েছিলেন সেই প্রশ্ন করা হলে, তাঁর বাবা বলেন, "আমি সেটা জানি না। আবেদন করেছিল। তাই চাকরি পেয়েছিল।"