img

Follow us on

Sunday, Jan 19, 2025

Coal Scam ED: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

Coal Scam ED: শিকারিয়ার ‘শিকার’ করতে ইডি...

img

কীভাবে কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার?

  2023-02-09 18:17:17

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলার তদন্তে গতকাল দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার অফিস ও কর্ণধারের দফতরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানা দেওয়ার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর এক ‘পলাতক’ সহযোগীর সঙ্গে এরাজ্যের এক ‘অতি-প্রভাবশালী’ রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। কয়লা পাচারের কালো টাকা যে ওই সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হত, সেই তত্ত্বও উঠে আসছে তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে।

কে এই বিক্রম শিকারিয়া?

তবে এ সবের মধ্য থেকে জনমানসের মনে অনেক প্রশ্নও উঠে আসছে। তা হল, কে এই বিক্রম শিকারিয়া, যার দফতরে হানা দিয়ে গতকাল প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। কীভাবে কয়লা পাচারের টাকা আসত ওই সংস্থায়? সবচেয়ে বড় কথা, এই শিকারিয়ার খোঁজ কীভাবে পেল ইডি?

আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত ম্যাডক্স স্কোয়ার সংলগ্ন ৫এ আর্ল স্ট্রিটে শিকারিয়ার বাড়ি ও লাগোয়া তাঁর সংস্থা গজরাজ গ্রুপের দফতর। গজরাজ গ্রুপের মালিক এই বিক্রম শিকারিয়া। মোট তিরিশটি কোম্পানি এই গ্রুপের অন্তর্গত। ধৃতের নির্মাণ ব্যবসার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রয়েছে ফুড চেন ও ধাবা। বিক্রম নিজে বেশ কয়েকটি সংস্থার ডিরেক্টর। বাকিগুলির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

শিকারিয়ার উত্থান শুনলে চোখ কপালে উঠবে

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গজরাজ গ্রুপের উত্থান হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতিতে। সেসময় বাকি সমস্ত জায়গায় যেখানে নির্মাণ ব্যবসার মন্দা চলছিল, সেই কোভিডকালের মধ্যে কীভাবে গজরাজ গ্রুপ এতটা ফুলে ফেঁপে উঠল, সেটাই ইডি-র স্ক্যানারে। ইডি জানতে পেরেছে, গজরাজ গ্রুপ মূলত নির্মাণ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করত। বেশিরভাগ প্রজেক্টই দক্ষিণ কলকাতার। জানা গিয়েছে, গত চার বছরে ৪২টি নির্মাণ করেছে এই গ্রুপ। 

আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি

এখানেই সাদা করা হত কয়লা পাচারের কালো টাকা?

গোয়েন্দা আধিকারিকদের অনুমান, কয়লা পাচারের কালো টাকা এই বাড়ি নির্মাণের মাধ্যমেই সাদা করা হয়েছে। এর আগেই ইডি আধিকারিকরা এই সংক্রান্ত বেশ কিছু সূত্র পেয়েছিলেন। তদন্ত করে ইডি জানতে পারে যে, কয়লা পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকা দফায় দফায় ওই প্রোমোটিং সংস্থাটির হাতে পৌঁছয়। ইডির সন্দেহ, এই কোম্পানিগুলিতে কয়লা পাচারের টাকা ঘুর পথে এসেছে। জানা যায়, আসানসোল এবং পুরুলিয়া থেকে কয়লা পাচারকারীদের টাকা হাত বদল হয়ে এই নির্মাণকারী সংস্থার মাধ্যমে বাজারে খাটানোর চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা কাণ্ডে যে কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছেছিল সেই টাকাই গিয়েছিল এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। 

কীভাবে শিকারিয়ার ‘শিকার’?

তদন্তের সূত্রেই কয়লা পাচারকাণ্ডের এই বেসরকারি সংস্থার নাম সামনে আসে। কয়লা পাচারের টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে, ‘মানি ট্রেল লিঙ্ক’-এর সূত্রে ধরেই ইডি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়। ইডি জানতে পারে, এই বেসরকারি সংস্থাটির মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হত। কয়লাকাণ্ডের তদন্তে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হয়। বয়ান নেওয়া হয় সাক্ষীদের। কয়লা পাচারের কিংপিন অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রত্নেশ ভার্মাকে জেরা করে বেশ কিছু নির্দিষ্ট সূত্র পায় ইডি। 

আরও পড়ুন: কে এই মনজিৎ জিট্টা ও তাঁর ‘অতি-প্রভাবশালী’ পার্টনার? কয়লাকাণ্ডে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

এছাড়া, লালার লাল ডায়রিতেও ছিল এই শিকারিয়া ও গজরাজের নাম। সেখানে এই সংস্থায় টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইসিএলের খনি থেকে পাচার হওয়া কয়লা কোথায় যাবে, কোন গাড়ি কোন গন্তব্যে যাবে, তা পুরোটাই দেখত রত্নেশ। তাকে জেরা করে এই পাচারকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালান তদন্তকারীরা। তা থেকে এই ‘গজরাজ গ্রুপ’ সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ইডি। এরপর থেকেই ইডির রেডারে চলে আসেন শিকারিয়া। চলে তার ওপর নজর রাখার কাজ। অবশেষে বুধবার সেখানে হানা দেয় ইডি।

Tags:

Enforcement Directorate

Coal Smuggling scam

coal scam

ED Raid

ED raid kolkata

coal scam ed

coal scam ed raid kolkata


আরও খবর


ছবিতে খবর