Coal smuggling case: এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দফায় দফায় সমন পাঠিয়েছিল ইডি। প্রতিবারই...
rujira-abhishek-ed-
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার (coal smuggling) কাণ্ডে নয়া মোড়। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ অভিষেক (Abhishek) বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার (Rujira Banerjee) বিরুদ্ধে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest warrant) জারি করল দিল্লির একটি আদালত। এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দফায় দফায় সমন পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। প্রতিবারই নানা অজুহাতে, ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গেছেন রুজিরা। এরপরই জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। এবার জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে চাইলে পরে কঠোর ধারাও যুক্ত করা হতে পারে। ফলে এবার বিপাকে পড়লেন অভিষেক জায়া রুজিরা।
এর আগে দু’দফার তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লা কাণ্ডে জেরা করেছে ইডি। মার্চের ২১-২২ তারিখে দিল্লিতে অভিষেক ও তার স্ত্রী রুজিরাকে ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। ইডির সমনের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন অভিষেক। কিন্তু অভিষেকের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। তৃণমূল সাংসদ একাধিকবার দাবি করেন তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে নয় কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। না মঞ্জুর হয় সেই আবেদনও। এরপর টানা ৮ ঘণ্টা ইডির জেরার মুখোমুখি হতে হয় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। যদিও মার্চেও ইডির জেরা এড়িয়ে যান অভিষেক জায়া। এর আগেও দফায় দফায় ইডির সমন এড়িয়ে গেছেন রুজিরা। গতবছর সেপ্টেম্বরেও কয়লা পাচার কাণ্ডে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল রুজিরাকে। তখন কোভিড অতিমারীর অজুহাতে জেরা এড়িয়ে গেছিলেন রুজিরা। যদিও সে সময় তিনি দিল্লিতেই ঘুরতে গেছিলেন।
কয়লা পাচার কেস
কয়লা-পাচার কাণ্ডে সিবিআই অনুপ মাঝি, ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড (ECL) ও ‘কয়েকজন অচেনা’ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করে। অভিযোগ, দুর্গাপুর-আসানসোল বেল্ট, ঝাড়খণ্ডের কয়লা খনি থেকে অবৈধ কয়লা তোলা ও বিক্রি করার সঙ্গে এরা যুক্ত। অভিযোগ, কয়েক কোটি টাকার কয়লা এভাবে পাচার হয়ে গেছে। উঠে আসে, এর সঙ্গে সরকারি আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতারা যুক্ত ছিলেন। রাজস্ব বাবদ কোটি কোটি হারিয়েছে দেশের সরকার।
ইডি তদন্ত
তদন্তে ইডি দুটি কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে। যার একটির নাম লিপস এন্ড বাউন্ডস লিমিটেড। অন্যটি লিপস এন্ড বাউন্ড ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস এলএলপি। যে দুটি কোম্পানিরই ডিরেক্টর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একজন তাঁর বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যজন তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি নির্মাণ সংস্থার পক্ষ থেকে 'প্রোটেকশন ফান্ড' বাবদ ৪.৩৭ কোটি টাকা এই দুই কোম্পানি পেয়েছে। এক ব্যবসায়িক সংস্থা থেকে দুই কোম্পানিই মোটা অঙ্কের অর্থ পায় স্থানীয় স্তরে সিন্ডিকেট সমস্যা সমাধানের জন্য। ইডির দাবি, ২০২০ মার্চে কয়লা পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝির নির্দেশেই পুলিশকর্তা অশোক মিশ্রর কাছে নিয়মিত বিপুল অঙ্কের টাকার যেত ট্রাঙ্কে করে। সেই বিশাল অঙ্কের টাকা দ্রুত চলে যেত অন্য কিছু অ্যাকাউন্টে। পুলিশকর্তা অশোক মিশ্রকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি।