জ্ঞানবন্ত পশ্চিমাঞ্চলের আইজিও ছিলেন। পশ্চিমাঞ্চলের বিরাট এলাকা জুড়ে এই কয়লা চুরি রমরমিয়ে চলে বলে জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
জ্ঞানবন্ত সিং।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে সোমবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সদর দফতরে হাজিরা এড়ালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিং (ADG STF Gyanwant Singh) ৷ এ দিন সকাল ১১ টায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি।
এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিং-কে এর আগেও দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। ইডির দফতরে হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, বাংলায় যখন রমরমিয়ে কয়লাপাচার চক্র কাজ চালাচ্ছিল, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন এই জ্ঞানবন্ত। তাঁর নজর এড়িয়ে কীভাবে কোটি কোটি টাকার কয়লাপাচার হল, তা জানতে চাইছে ইডি ৷ সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জেরা করেই জ্ঞানবন্তের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে
শুধু জ্ঞানবন্ত নয়, রাজ্যের মোট আটজন আইপিএস অফিসারকে তলব করেছে ইডি। যাঁদের তলব করা হয়েছে, সেই তালিকায় জ্ঞানবন্ত ছাড়াও রয়েছেন আইপিএস শ্যাম সিং, রাজীব মিশ্র, তথাগত বসু, সুকেশ জৈন, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, এস সেলভামুরুগন ও কোটেশ্বর রাও। তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ওই সময় কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এদের মধ্যে কেউ সেই সময় ছিলেন ডিআইজি, কেউ আইজি, কেউ পুলিশ সুপার। তাঁরা কি কয়লা পাচারের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন? পুলিশ আধিকারিকদের সামনে দিয়ে কী ভাবে পাচার হত? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
জ্ঞানবন্ত পশ্চিমাঞ্চলের আইজিও ছিলেন। পশ্চিমাঞ্চলের বিরাট এলাকা জুড়ে এই কয়লা চুরি রমরমিয়ে চলে বলে জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কীভাবে তাঁর নজর এড়িয়ে কয়লাপাচার হল? দায়িত্ববান পুলিশ আধিকারিক হয়েও কেন আইনি পদক্ষেপ নেননি তিনি? কয়লাপাচার হচ্ছে, এই খবর তিনি কি জানতেন না? এমন একাধিক প্রশ্ন রয়েছে ইডির কাছে, বলে খবর। এই মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।