প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ঢেলে ছ’টি ক্রেন এবং শেড-সহ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
হুগলি ডক ইয়ার্ড।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাজিরগঞ্জে দুশো বছরের পুরনো হুগলি ডক অ্যান্ড পোর্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড সংস্থাকে পুনুরুজ্জীবিত করে ‘হুগলি-কোচিন শিপইয়ার্ড’ হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। হুগলি নদীর পূর্ব তীরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতায় নিত্যনতুন জাহাজ এবং জলযান তৈরির মাধ্যমে গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্সের খ্যাতি যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন পশ্চিমের নাজিরগঞ্জে রুগ্ণ হচ্ছিল এইচডিপিইএল। ২০০ বছরের পুরনো সংস্থাটি ছিল অ্যান্ড্রু ইউলের অধীনে। পরে জাতীয়করণ হলেও হাল ফেরেনি। কলকাতা বন্দরের আর্থিক অবস্থার ওঠাপড়া এবং শিল্পের সার্বিক মন্দায় পিছিয়ে পড়েছিল ডক ইয়ার্ড। লোকসান হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পুনরুজ্জীবনের একাধিক প্রস্তাব ব্যর্থ হওয়ার পরে বাণিজ্যিক পোত এবং রণতরী নির্মাতা কোচিন শিপইয়ার্ড এর উন্নতিতে লগ্নি করতে রাজি হয়। প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ঢেলে ছ’টি ক্রেন এবং শেড-সহ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
সংস্থার চেয়ারম্যান মধু এস নায়ার জানান, ‘‘কোভিড এবং ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলে যাবতীয় পরিকাঠামো নতুন করে খুব দ্রুত তৈরি করা হয়েছে।’’ দেশ-বিদেশের চাহিদা মেটাতে, হুগলি কোচিন শিপইয়ার্ডে ৮০-১২০ মিটার লম্বা ছোট জাহাজ, রোরো, বার্থ, ভেসেল, ব্যাটারি চালিত লঞ্চ-সহ সব জলযানই তৈরি হবে, বলে জানান নায়ার। তিনি জানান, এর হাত ধরে রাজ্যে নতুন কর্মসংস্থান হবে। বিকাশ ঘটবে অনুসারী শিল্পের।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে তেরঙ্গা আলোয় আলোকিত ভারতের স্মৃতিস্তম্ভগুলো
Tags: