বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে সরাসরি ধর্ষণের ধারা কীভাবে? জানতে চান বিচারপতি
নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন (By Election) মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হল ওই বিধানসভা কেন্দ্রের পাটকেলডাঙা এলাকার কংগ্রেস (Congress) নেতা সইদুল রহমানকে। বিবাহিত এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সাগরদিঘি থানার পুলিশ। ১৫ বছরের পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কংগ্রেস নেতাকে। জানা গিয়েছে, এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী শাহনাজ বেগমের বাড়িতে অভিযান চালায় সাগরদিঘি থানার পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী সইদুলকে। তিনি সাগরদিঘির ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন।
ঘটনার প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে বাম এবং কংগ্রেস কর্মীরা ঘণ্টা পাঁচেক অবরোধ করে রাখেন সাগরদিঘি থানা। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সাগরদিঘির (Sagardighi) এক মহিলা সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও করে রেখেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, সইদুল ধর্ষণের ভিডিও তুলে রেখে সম্প্রতি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!
এদিনই আদালতের তোলা হয় সইদুলকে। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। সইদুল বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে জেলে রেখে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভোট লুঠ করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও বলেন, আমার ধারণা সাগরদিঘি (Sagardighi) থানার পুলিশের ওপর উচ্চতর মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল সইদুলকে গ্রেফতার করার জন্য। তাই সাগরদিঘি থানার পুলিশ এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।
রবিবার সইদুলকে তোলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রশ্ন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় আগে কেন কোনও তদন্ত করা হয়নি? তিনি জানান, আদালত পুলিশকে আর একবার সুযোগ দিচ্ছে। কাল দুপুর দুটোয় কেস ডায়েরি নিয়ে ওসিকে আদালতে হাজির হতে হবে। সইদুলের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি বলেন, সইদুল সাগরদিঘি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি যাতে কাজ করতে না পারেন, তাই ১৫ বছর আগের এক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সইদুলকে।