আদালতের তরফে হলফনামা দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে...
চিন্তিত?
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন এতজনের চাকরি গেল? চাকরি গেলে খাবে কী? মঙ্গলবার এই সব প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (recruitment scam) সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এমতাবস্থায় আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হল হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। আদালতের তরফে হলফনামা দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি টিএস শিবগননমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আবেদনকারীর দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। ৭৮৫ জনের চাকরি গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কেউ কেউ আত্মহত্যা করছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যের যে অংশে আপত্তি...
মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন বিকাশ। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।
প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।
আরও পড়ুুন: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত
ওই অনুষ্ঠানে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, একজন চাকরি করছে বলেই বিয়ে করে সংসার করছে, চাকরি করে বলেই বাবা-মাকে দেখতে পারছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে তারা খাবে কী? তাদের সন্তানদের মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেবে? এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, যদি কোনও ভুল করে থাকে, তাকে সুযোগ দেওয়া হোক। দরকার হলে আবার পরীক্ষা দিক। নিয়োগ কেলেঙ্কারি ইস্যুতে এতদিন মামলা কিংবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন মমতা। তবে এবার তিনি যেভাবে তিনি আদালতের নির্দেশে চাকরি হারানোদের হয়ে সওয়াল করলেন, তা কার্যত বেনজির বলেও মত ওয়াকিবহাল মহলের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।