Jamaishashti: বাঙালির পাতে আকাল টাটকা ইলিশের…
ইলিশ মাছ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামাই ষষ্ঠীতে এবছর টাটকা ইলিশের আকাল (Crisis of Hilsa)। মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই সময় সাময়িক ভাবে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই জামাইয়ের পাতে ইলিশ হয়তো এক বছরের পুরনো থাকবে। উল্লেখ্য বাঙালির জামাই ষষ্ঠীতে ইলিশ না থাকলে যেন পার্বণের আমেজ থাকে না। ষষ্ঠীর প্রধান অলঙ্করণ হল, জামাইয়ের এক হাতে আস্ত ইলিশ এবং অপর হাতে দই-মিষ্টির হাঁড়ি। এই বছরে তাই ভোজন রসিক বাঙালির পাতে তাজা ইলিশের জোগান তেমন মিলবে না।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর কারণ হল-এই সময় মাছের প্রজনন হয়। তাই, সরকারের তরফে প্রতি বছর এই ৬০-৬১ দিন বন্ধ থাকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া। ফলে এই সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভাবেই মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরতে পারবেন না। দিঘা, শঙ্করপুর, পেটুয়া, নন্দীগ্রাম, কোলাঘাটে রূপনারায়ণের পাড়ে হাজার হাজার ট্রলার দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও বর্ষা এখনও ভালো করে অনুকূল হয়নি, তাই ইলিশের মরসুম তেমন ভাবে শুরু হয়নি। ১২ জুন জামাই ষষ্ঠী, তাই কোনও ভাবেই মৎস্যজীবীরা তাজা ইলিশের (Crisis of Hilsa) সন্ধান দিতে পারছেন না। মৎস্য ব্যবসায়ীরাও মাছ বিক্রির আশা থেকে বঞ্চিত।
দিঘা মোহনা ফিশারম্যান অ্য়ান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণবকুমার কর বলেছেন, “মাছ ধরা শুরু হয়নি। তাই জামাই ষষ্ঠীতে তাজা ইলিশের (Crisis of Hilsa) আমদানি হচ্ছে না।” কাঁথির সুপার মার্কেটের মাছের আড়তদার প্রদীপ বর্মন বলেছেন, “এখনও এই বছরের ইলিশ মাছ ধরা শুরু হয়নি। মৎস্যজীবীরা কেবল প্রস্তুতি শুরু করেছেন।” আবার ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, “কলকাতা এবং আশেপাশের ৫টি হিমঘরে নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, দিঘার ইলিশ রয়েছে। তবে সেগুলি সবই একবছর আগেকার।”
আরও পড়ুন: রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়ে বন্দুক দেখিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি!
ইলিশ (Crisis of Hilsa) গবেষকরা জানিয়েছেন, “পুবালি বাতাস আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে সমুদ্রে। বর্ষায় নিম্নচাপ তৈরি হলে এই ধরণের পরিবেশ তৈরি হয়। আবহাওয়া সেই রকম তৈরি না হওয়ায়, অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।