North Bengal Medical College: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি সিভি আনন্দ বোসের…
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি এবং মাফিয়া চক্র চলছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical College)। রাজ্য সরকারি হাসপাতালে চলমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে। আরজি কর-কাণ্ডের জেরে যা প্রকাশ্যে এসেছে। এবার দুর্নীতির সেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরব হলেন স্বয়ং রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত দাবি করে চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। রাজভাবনের এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন দার্জিলিং লোকসভার সাংসদ তথা বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্তাকে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
শিক্ষা দফতর, খাদ্য দফতরের পর এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতির ইস্যুতে রাজ্যের রাজনীতির পারদ চরমে উঠেছে। আরজি কর হাসপাতলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই ভাবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical College) লবিবাজি, পরীক্ষায় টুকলি, চিকিৎসা সরঞ্জামে দুর্নীতির খবর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠেছে। এমনকী, আরজি করের দুর্নীতির নেপথ্যেও এই ‘উত্তরবঙ্গ লবি’ প্রবলভাবে কলকাঠি নেড়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে, সিবিআই তদন্তের দাবি করে রাজ্যের কাছে চিঠি গেল রাজভবন থেকে। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি লিখেছেন রাজভবনের ডেপুটি সচিব। উল্লেখ্য এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা আগেই রাজ্যপালকে (C. V. Ananda Bose) চিঠি দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। রাজভবনের ওই চিঠি সম্পর্কে দার্জিলিং সাংসদ রাজু বলেন, “এই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তৃণমূল নেতারা কীভাবে মাফিয়া রাজ চালাচ্ছেন, আমি সেই বিষয়ে মাননীয় রাজ্যপালকে অবহিত করেছিলাম।” যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি, নার্সিংহোমে অভিযান ইডির
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical College) একটি কনভেনশেনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাসপাতালের দুর্নীতি এবং ‘মাফিয়া রাজ’ সম্পর্কে সরব হয়েছিলেন ডাক্তারদের একাংশ। হাসপাতাল ক্যাম্পাসে সবসময় ‘থ্রেট কালচার’ বা হুমকির সংস্কৃতি চলছে। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ লবির বহিরাগতরা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে। তৃণমূলের নেতারা নিজেদের প্রভাব ব্যাপকভাবে কায়েম করে রেখেছে। সন্দীপ ঘনিষ্ঠ অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লবি করার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের এই ২ চিকিৎসক-নেতার বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন ডাক্তাররাও। যার জেরে বাধ্য হয়ে এই ২ জনকে সাসপেন্ড করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।