বিলগুলি দ্রুত অনুমোদনের জন্য ‘স্পিড’ নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে রাজভবন...
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনে কোনও বিল আটকে নেই। বুধবারই বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল রাজভবন (CV Ananda Bose)। মঙ্গলবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, সাড়ে ১২ বছরে ২২টি বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। তার প্রেক্ষিতেই বিবৃতি জারি করে রাজভবন।
তাতে বলা হয়েছে, কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল যে, ১২ বছরে ২২টি বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে বুধবারই রাজভবনে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যে বিলগুলি রাজ্যের ব্যাখ্যা না পাওয়ার জন্য আটকে রয়েছে, সেই বিলগুলি দ্রুত অনুমোদনের জন্য ‘স্পিড’ নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে রাজভবন। এই স্পিড প্রোগ্রামের অধীনে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী বা সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করেই যে বিলগুলি রাজভবনে আটকে রয়েছে, সেগুলির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজভবনের (CV Ananda Bose) তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে এও বলা হয়েছে, রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার যে বিল, সেটি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।
যে বিলগুলি আটকে রয়েছে বলে স্পিকার জানিয়েছিলেন, সেগুলি কোন পর্যায়ে রয়েছে, বিবৃতিতে তাও জানানো হয়েছে। হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন সংক্রান্ত বিল ২০২২ সালের ১৪ মার্চ থেকে রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যার উত্তর পাওয়া যায়নি। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোটেকশন অফ ইন্টারেস্ট অফ ডিপোজিটার্স ইন ফিনান্সিয়াল এস্টাবলিশমেন্টস বিল ২০১৩ শর্ত সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর তা ২২ এপ্রিল ২০১৫ সালে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। জেসপ ও ডানলপ অধিগ্রহণ নিয়ে বিধানসভায় পাশ হওয়া দুটি বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে।
আরও পড়ুুন: 'দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম', মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত
প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও, তার উত্তর মেলেনি (CV Ananda Bose)। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস আমেন্ডমেন্ট বিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে, তারও উত্তর আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিল পাশ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সেগুলিকে বিচারাধীন বিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।