হিংসা বরদাস্ত করা হবে না...
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসাদীর্ণ ভাঙড় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শুক্রবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। পরে যান ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর বিডিও অফিসে। শনিবার তিনি গেলেন ক্যানিং (Canning)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে সংবাদের শিরোনামে এসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনারই ক্যানিং। রাজভবন সূত্রে খবর, শনিবারই রাজ্যের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। সেসব কর্মসূচি বাতিল করে ক্যানিংয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিভি আনন্দ বোস।
শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজভবনে তলব করা হয়েছিল রাজীবকে। যদিও এদিন বেলার দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্ক্রুটিনিতে ব্যস্ত থাকায় শনিবার তিনি দেখা করতে যেতে পারছেন না রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে অন্য কোনও দিন ডেকে পাঠানো হলে, তিনি যেতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বুধবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ক্যানিং। বাসন্তী হাইওয়েতে দুপক্ষের ওই সংঘর্ষে বোমাবাজি হয়েছে। গুলি চালনার অভিযোগও উঠেছে। গুলিবিদ্ধ হন সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুজন। ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধ করা হয় বাসন্তী হাইওয়ে। অশান্তির এই আবহে ক্যানিং শহরে সিপিএমের পার্টি অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন সেই ক্যানিং পরিদর্শনেই যাচ্ছেন রাজ্যপাল। শুক্রবার ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেছিলেন, “গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। কোনওভাবেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”
আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল
এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল তো আর সরাসরি মাঠে নেমে যুদ্ধ করতে পারেন না। তাঁকে যেভাবে কাজ করতে হয়, তিনি সেভাবেই করবেন। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তিনি ডেকে পাঠাতে পারেন। এখন যেহেতু নির্বাচন চলছে, তাই তিনি নির্বাচন কমিশনকে ডেকে পদক্ষেপ করবেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।