TMC MLA Oath Controversy: দুই বিধায়কের শপথবাক্য পাঠ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত
রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ রাজ্যপাল বোসের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান অমান্য করে তৃণমূলের দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন, এই মর্মে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে নালিশ জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শুক্রবারই তৃণমূলের দুই বিধায়ক বরাহনগরের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার রেয়াত হোসেন সরকারকে বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করিয়েছেন বিমান।
বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে বিধায়কদের শপথগ্রহণের জন্য ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশেরই উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া রিপোর্টে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজভবনের তরফে। কিন্তু স্পিকার সেই নির্দেশ অমান্য করে সংবিধানকেও অমান্য করেছেন। এদিনই রাজভবনের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বিষয়টি পোস্ট করে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘স্পিকারের সংবিধান অমান্য করা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।’’ রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে এরপরের পদক্ষেপও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।
— Raj Bhavan Kolkata (@BengalGovernor) July 5, 2024
৪ জুন সারা দেশের লোকসভা ভোটের ফলাফলের সঙ্গে রাজ্যের দুই বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফলও প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু শপথ ঘিরে রাজভবন বনাম বিধানসভার মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বিধায়কদের শপথগ্রহনের দায়িত্ব দেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও এদিন ডেপুটি স্পিকার নন, স্পিকারই শপথবাক্য পাঠ করান। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে এই বিষয়টির উল্লেখ করে রাজ্যপাল লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার সাংবিধানিক রীতি নীতিও মানছেন না। সম্প্রতি নবান্নের একটি সরকারি বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। রাজ্যের দুই হবু বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের যে টানাপড়েন চলছে, সে ব্যাপারে সরব হন মমতা। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রাজ্যপাল। এবার বিষয়টি রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত গড়াল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।