Cyclone Alert: ভয়ঙ্কর হতে পারে ঘুর্ণিঝড় 'দানা', রাজ্যে কতটা প্রভাব পড়বে?
ধেয়ে আসছে ‘দানা’! ২১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে বারোটার সময় তোলা উপগ্রহ চিত্র। (সংগৃহীত ছবি)।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসবে মাততে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যবাসী। এই আবহের মধ্যে রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। ২৩ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) তৈরি হবে। ২৪ তারিখ সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে (Cyclone Alert) ।
সাগরে নিম্নচাপের সময় বাতাসের প্রচণ্ড ঘূর্ণায়মান গতির ফলে সংঘটিত বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থাকে সংক্ষেপে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাতাসের এই একটানা ঘূর্ণায়মান গতি যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখনই এর নামকরণ করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে উঠে গেলে নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হয়। আর এ সময়ই ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। Q, U, X, Y ও Z- ইংরেজি বর্ণমালার এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে বাকি ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হয়। তবে, কোনও বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলির সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয় (Cyclone Dana)।
আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত
বিশ্ব আবহাওয়া (Cyclone Alert) সংস্থা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে মোট ৫টি আঞ্চলিক সংস্থা তাদের স্ব-অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে। এগুলি হলো- ইএসসিএপি (ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) বা ডব্লিউএমও (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) টাইফুন কমিটি, ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, আরএ (রেজিওনাল অ্যাসোসিয়েশন) ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি, আরএ-৪ হারিকেন কমিটি, আরএ-৫ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলির (Cyclone Dana) নামকরণ করে ১৩টি দেশ। সেগুলি হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়নমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিশাহি ও কাতার। ডব্লিউএমওর অংশ হিসেবে উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে থাকে- আরএসএমসি, ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস) ও ভারতের আবহাওয়া দফতর(আই.এমডি)। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে- ‘দানা’ (Cyclone Dana)। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। এই ‘দানা’ (শব্দভেদে ডানা)-নামের অর্থ মুক্ত (Free)।
ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নামকরণের পিছনে মূল কারণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জনসাধারণের সতর্কতা। এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বাতাসের গতিবিধি ও আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে। এই গবেষণায় ঝড়ের তীব্রতা এবং একাধিক ঝড়ের মধ্যে তুলনামুলক বিশ্লেষণে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে এগুলোর নামকরণ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ তারিখ উপকূল এর হাওয়ার গতিবেগ থাকবে সম্ভাব্য ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেটা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়ও হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১৩৫ কিমিতে (Cyclone Alert) ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।