Kolkata: কলকাতায় ‘দানা’র কী প্রভাব পড়ল?
দানার দাপটে জলমগ্ন কলকাতা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইক্লোন ‘দানা’-র (Cyclone Dana) ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলেছে রাতভর। তারই প্রভাবে শুক্রবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সাগরদ্বীপ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে রাত থেকেই। বেলা বাড়লেও শহর কলকাতার (Kolkata) আকাশে আলোর দেখা নেই। সকাল থেকে বৃষ্টি হয়ে চলেছে অঝোরে। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও একনাগাড়ে বর্ষণে শহরের একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে, সকাল থেকে রাস্তায় যান চলাচল বেশ কম। খুব বেশি মানুষও রাস্তায় বের হননি। ফলে, ভোগান্তি তুলনামূলক কম রয়েছে।
সকাল থেকে টানা বৃষ্টির (Cyclone Dana) জেরে জল জমেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বেশ কিছু জায়গায়। এছাড়া মহাত্মা গান্ধী রোড, পার্ক স্ট্রিট, থিয়েটার রোড, ক্যামাক স্ট্রিটে জল জমেছে। উত্তর বন্দর থানার কাছে স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। জল জমেছে সায়েন্স সিটির কাছেও। বেলঘরিয়া রোড, বর্ধমান রোড এবং আলিপুরের কিছু কিছু রাস্তায় জল জমেছে। কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে। আশঙ্কা ছিল, বৃহস্পতিবার রাত থেকে কলকাতা এবং শহরতলিতে ঝড়বৃষ্টি হবে। রাতে কোথাও তেমন বৃষ্টি হয়নি। ঝোড়ো হাওয়াও তেমন ছিল না। আশঙ্কা থাকলেও বাংলায় সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘূর্ণিঝড়। রাতে ওড়িশা উপকূলে ঝড়ের 'ল্যান্ডফল' হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় শুক্রবার সকালে। তার পর শক্তি হারিয়ে 'দানা' সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বিকেলের মধ্যে আরও শক্তিক্ষয় হবে তার। পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির
ঝড়ের (Cyclone Dana) 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর বৃষ্টি বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল ৪২.৭ মিলিমিটার। তবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শহরে ৫৮.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই তিন ঘণ্টায় সল্টলেকে ২৯ মিলিমিটার এবং দমদমে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গড়িয়া- ৪২ মিলিমিটার, যোধপুর পার্ক- ৪১ মিলিমিটার, বালিগঞ্জ- ৪২ মিলিমিটার, তপসিয়া- ৪০ মিলিমিটার, চেতলা- ৩৮ মিলিমিটার, মোমিনপুর- ৩৬ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়া- ২৪ মিলিমিটার, উল্টোডাঙা- ১৭ মিলিমিটার, তারাতলা- ৩২ মিলিমিটার, বেহালা- ২৬.৭০ মিলিমিটার, চিংড়িঘাটা- ২৪ মিলিমিটার, কালীঘাট- ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ডায়মন্ড হারবারে ৭৪ মিলিমিটার, হলদিয়ায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের (Cyclone Dana) জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।