আগামী দিনে ডিএ আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
সরকারি কর্মীদের আন্দোলন।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার চাপের মুখে পড়ে সরকারি কর্মীদের মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance)ঘোষণা করলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানান রাজ্যের সকল কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী, পেনশনার সবাই এই ডিএ পাবেন। মার্চ থেকেই ৩ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়া হবে। তবে এই ৩ শতাংশ ডিএ নিয়ে মোটেও খুশি নয় সরকারি কর্মীরা। এতে চিঁড়ে ভেজার নয় বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
ডিএ নিয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের কথায়, 'সরকার আজ ৩%ডি এ ঘোষণা করেছে। আমরা এতে সন্তুষ্ট নয়। আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে। আগামী দিনে ডিএ আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে। এটা মরুভূমিতে এক ফোঁটা জলের মতো।' তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করছি না। কর্মবিরতি হবে। সন্ধ্যার মধ্যে তারিখ জানানো হবে।
ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (CEO) কার্যত ‘হুঁশিয়ারি’ চিঠি দিয়েছে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের যৌথমঞ্চ (Joint Forum)। যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে স্পষ্ট করে বলা হয়েছ, সরকার ডিএ না দিলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আাগামী দিনে ভোটের ডিউটিতে (Election Duty) যাবেন না। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই সময় সরকারি কর্মীরা ভোটের কাজে না গেলে এককথায় সমূহ বিপদে পড়তে হবে। বকেয়া মহার্ঘভাতার (DA) দাবিতে শহিদ মিনারে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে লাগাতার অবস্থান চলছে।
পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। এই ফারাক কবে মিটবে, তার সদুত্তর কারও কাছে নেই। রাজ্য সরকার ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করলেও ফারাক থাকবে ৩২ শতাংশ। রাজ্য সরকারি কর্মচারির প্রত্যাশার কাছাকাছিও যেতে পারেনি বুধবারের ঘোষণা। তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারি সংগঠনও সে কথা স্বীকার করছে। বিরোধী সংগঠনগুলি বৃহত্তর আন্দোলনের ডাকও দিচ্ছে। এ নিয়ে তৃণমূল সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্য ৩ শতাশ ডিএ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সরকারি কর্মচারিদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। ১৫ মার্চ এই সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে। আপাতত সকলে সেই দিকেই তাকিয়ে।’’
আরও পড়ুন: শীতের বিদায় বেলায় ফের পতন তাপমাত্রায়, জানুন আবহাওয়া আপডেট
ইতিমধ্যেই বকেয়া ডিএ না মিললে লাগাতার কর্মবিরতিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকারকে তাঁরা দু’দিন সময় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক। দু’দিনের মধ্যে তাঁদের বকেয়া ডিএ না মেটানো হলে লাগাতার কর্মসূচির দিন ঘোষণা করবেন। এদিকে আন্দোলনকারীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, টানা অনশনে বসে একাধিক সরকারি কর্মচারি অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।