img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Sukanta Majumdar: মৃত দেহে কেলেঙ্কারি! আরজিকর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইডিকে চিঠি সুকান্তর

আরজিকরের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইডির কাছে মামলা করার চিঠি সুকান্তর...

img

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। সংগৃহীত চিত্র।

  2023-12-02 14:27:41

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মৃত দেহগুলিকে বেআইনি কাজে লাগানো এবং ময়নাতদন্তে কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে বদলির বিষয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে নানান দাবি উঠেছে। এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ জানিয়ে ইডিকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অপর দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ২০১১ সালের স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আরটিআই করেছেন বলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।

ঠিক কী কারণে চিঠি সুকান্তর (Sukanta Majumdar)?

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি এবং বেআইনী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ইডিকে চিঠি লিখে জানান, “হাসপাতালের মৃত দেহগুলিকে বেআইনি কাজে লাগানো হচ্ছে এবং ময়নাতদন্তে কেলেঙ্কারি করছেন তিনি। জৈব আবর্জনার সিন্ডিকেট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে হাসপাতালকে। মানুষকে হাসপাতালের সরকারি জিনিস বেশি দামে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি টাকা পয়সার অপব্যবহার করছেন অধ্যক্ষ।” এছাড়াও সুকান্ত আরও বলেন, “হাসপাতালের ভিতরে বেআইনি খাবারের দোকান রয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে নিয়ম না মেনে যত্রতত্র টাকার বিনিময়ে পার্কিং। এমনকী পড়ুয়াদের ভর্তির কাউন্সিলে করছেন গোলমাল। অবশ্য অধ্যক্ষ নিজে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে রাজ্য প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়।” এই সকল গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানান সুকান্ত। তাই চিঠিতে ইডিকে মামলা রুজু করার অনুরোধ করেন তিনি।

তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অধ্যক্ষ

সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে অধ্যক্ষ পদে সন্দীপ ঘোষকে রাখা হবে কিনা এই নিয়ে তীব্র উত্তেজনা শোনা গিয়েছিল। হাসপাতালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা যায়। একপক্ষ সন্দীপ এবং অপর পক্ষে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় নামক আরেক ডাক্তার। পড়ুয়াদের মধ্যে সন্দীপের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের মুখপাত্র ডাক্তার শান্তনু সেনকে কলেজে গিয়ে রফা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকেই অধ্যক্ষ হিসাবে রাখা হয়। ফলে তিনি যে খুব তৃণমূল ঘনিষ্ঠ, তা তখন থেকেই প্রমাণিত ছিল। তাই তাঁর এই অনৈতিক কাজের পিছনে কোন তৃণমূল নেতা রয়েছেন, সেটাও ইডিকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Suvendu Adhikari

Enforcement Directorate

Sukanta Majumdar

bangla news

Bengali news

principal

R.G.Kar Medical College


আরও খবর


ছবিতে খবর