Calcutta High Court: হিরণের মামলায় দেবকে নোটিশ! ভোটের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ উচ্চ আদালতের…
বাঁ দিকে হিরণ এবং ডান দিকে দেব। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Dev-Hiran)। এবার এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ দেবকে নোটিশ দিল উচ্চ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক স্পষ্ট করে নির্দেশ দেন, ঘাটাল কেন্দ্রে ভোটের সমস্ত কাগজপত্র, বৈদ্যুতিন নথি এবং ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী ৬ অগাস্ট হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।
ভোটের দিন থেকেই ছাপ্পা-কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Dev-Hiran)। তিনি এই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবিও তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচনের দিন কেশপুরে ‘লুঙ্গি ড্যান্স’ করে রাজ্য প্রশাসনের সাহায্যে গণতন্ত্রকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। এখানকার ৭১ ও ৭৪ বুথের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল কীভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। কমিশনের পর্যবেক্ষক বা রিটার্নিং অফিসাররা কেউ আমার অভিযোগ শোনেননি। কেশপুরে ২০০ বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেয়নি শাসক দলের গুন্ডারা। খুল্লাম-খুল্লা ছাপ্পা মেরেছে।” হিরণের (Dev-Hiran) মামলায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
হিরণ একা নন। এর আগে, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে হিরণের (Dev-Hiran) মতো আগেই ইলেকশন পিটিশেন দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। তাঁর অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূল ব্যাপক ছাপ্পা এবং কারচুপি করেছে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও (Calcutta High Court) ইভিএম, ব্যালট, সিসিটিভি, ডিভিআর এবং নির্বাচনী সমস্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই ভাবে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কোচবিহারের পরাজিত প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক, আরামবাগে পরাজিত অরূপকান্তি দিগার এবং ডায়মন্ডহারবারের পরাজিত অভিজিৎ দাস ববি, প্রত্যেকে মামলা দায়ের করেছেন হাইকোর্টে। প্রত্যেক বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ ফলাফলে কারচুপি করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ অভিষেকের কেন্দ্রে ভোট লুট নিয়ে এবার বড়সড় পদক্ষেপ শুভেন্দুর, করলেন আরটিআই
অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৭ লাখেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। বিজেপি এনিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে। এই কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ ভোটের ছাপ্পা হয় বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার কাজে যে সকল পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার এবং কাউন্টিং স্টাফ যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলের নাম, পরিচয় প্রকাশের দাবিতে আরটিআই দাখিল করেছেন তিনি। নাম প্রকাশ্যে আসলেও ছবি আরও স্পষ্ট হবে বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।