আদিবাসী সামজের প্রতিবাদ সভাকে ঘিরে প্রবল যানজট
হাওড়া ব্রিজের কাছে ব্যাপক ভিড়ে যানজট। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মদতে কুড়মি-মাহাতোরা জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে চাইছেন। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের উপর দমন পীড়নের প্রতিবাদে পথে নেমেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্স’। প্রতিবাদে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করে কলকাতার রানী রাসমণি রোডের এই সমাবেশে উপস্থিত হন। এর ফলে প্রবল যানজটে অবরুদ্ধ হয় কলকাতা সহ হাওড়া (Howrah) জেলার নানা জায়গা। নিত্যযাত্রী, সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় ব্যাপক হয়রানিতে। আদিবাসী সমাজ এই যানজটের দায় চাপিয়েছে পুলিশের উপর।
‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্স’-এর পক্ষ থেকে এই সভায় তাদের দাবি করা হয়, তাঁদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালু করারও দাবি জানান তাঁরা। সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য, বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে এসে জড়ো হন হাজার হাজার আদিবাসী সমাজের মানুষ।
আজ, হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ হয়ে, মিছিল করে, ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে সভায় অংশ নিতে যান আন্দোলনকারীরা। অনেকে আবার লঞ্চ পেরিয়েও ধর্মতলা পৌঁছান। আদিবাসীদের এই মিছিলের জেরে হাওড়া এবং কলকাতায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল ব্যাহত হয়। হাজার হাজার লোকের মিছিলের জেরে হাওড়া ব্রিজে বেশ কয়েক দফা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। শুধুমাত্র হাওড়া ব্রিজ নয় হাওড়া ময়দান এবং সালকিয়া পর্যন্ত এই যানজট বিস্তৃত হয়।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়, মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ ধর্মতলা ক্রসিং, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণী, জহরলাল নেহরু রোড, রেড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং মেয়ো রোড। হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই যানজটের জেরে আটকে পড়েন হাজার হাজার অফিস যাত্রী। তাঁদের পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় অফিসে। এর জেরে অনেকেই দেরিতে অফিস পৌঁছান। হাওড়া ব্রিজ, স্ট্র্যান্ড রোড, ব্র্যাবোর্ন রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে।
হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই ব্যাপক যানজটের কথা তুলে ধরে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি। ফলে যানজটের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে পুলিশের আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। পুলিশের আগে থেকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেনি। তাই সব দায় পুলিশের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।