Hunger Strike: আজ ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি আইএমএ-এর বেঙ্গল শাখার
বাঁদিকে আলোলিকা ঘোড়ুই ও ডানদিকে পরিচয় পণ্ডা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ছে ঝাঁঝ জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের, শুক্রবার রাতে তাঁদের অনশনমঞ্চে যোগ দিলেন আরও দুই জন চিকিৎসক। এরফলে বর্তমানে ওই মঞ্চে অনশনরত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট। ধর্মতলা (Dharmatala) ছাড়াও, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই জুনিয়র ডাক্তারও ‘আমরণ অনশন’ (Hunger Strike) করছেন। শুক্রবার রাতে ধর্মতলায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর তরফে জানানো হয়, আরও দুই জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশন (Dharmatala) শুরু করছেন। তাঁরা হলেন পরিচয় পণ্ডা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই। জানা গিয়েছে, পরিচয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ওই হাসপাতালের ইএনটি (নাক, কান, গলা) বিভাগের পিজিটি-র দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। আর কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রথম বর্ষের পিজিটি আলোলিকা। তাঁরা জানান, সরকার যত দিন পর্যন্ত না তাঁদের দাবি মেটাচ্ছেন তত দিন এ ভাবেই জীবনকে বাজি রেখে এগিয়ে যাবেন একে একে।
প্রসঙ্গত, ১০ দফা দাবিতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। স্নিগ্ধা হাজরা ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন তনয়া পাঁজা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। এরপর গত রবিবার, ৬ অক্টোবর অনশনে যোগ দিয়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোও। বৃহস্পতিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে ধরলে অনশনকারীর (Dharmatala) সংখ্যা ন’জন।
গত অগাস্ট মাস থেকেই আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত বুধবার রাতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সেই বৈঠক বিফল বলেই দাবি তাঁদের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার নতুন কিছু বলছে না। শুধু মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনশন তুলে নেওয়ার কথা বলছে। ঠিক এই আবহে আজ রবিবার সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) বেঙ্গল শাখা কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি (Hunger Strike) পালন করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।